বছর পাঁচ আগেই অভিনেত্রী নুসরত জাহান নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। তাঁর পরিচয় এখন আর শুধু অভিনেত্রী নয়, তিনি সাংসদও। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে ভোটে জিতেছেন, তাও বসিরহাটের মতো এলাকা থেকে। কিন্তু অভিনয় জীবনে যতটা সাফল্য এসেছে, ততটা পাননি সাংসদ হিসেবে। বরং তাঁর ‘ব্যর্থতা’ খোঁজার দিকেই সকলের নজর থাকে বেশি।
অবশ্য অভিনেত্রী আর সাংসদের পাশাপাশি, নুসরত একজন মা-ও। ২০২১ সালে জন্ম হয়েছে ঈশান জাহান দাশগুপ্তর। ছেলেকে এখনও জনসম্মুখে আনেননি তারকা মাম্মা। এমনকী, ছেলের খুঁটিনাটি জিনিসও সংবাদমাধ্যমের চোখের আড়ালে রাখারই চেষ্টা করেন তিনি। তবে সম্প্রতিই ছেলের আঁকার ছবি ভাগ করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। তখনও পিছু ছাড়ল না ট্রোলাররা।
আরও পড়ুন: দমবন্ধ করবে শার্টলেস শাহরুখ! কিং খানের নতুন ছবি নিয়ে পড়ল হইচই, আপনি দেখেছেন
মায়ের কাছে তাঁর সন্তানের যে কোনও সাফল্যই গর্বের। তা সে প্রথম হাঁটা হোক, বা প্রথম মা ডাক, কিংবা ঈশানের মতো ছবি আঁকা। নুসরত নিজেও ভালোবাসেন রং-তুলি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ও ঈশানের আঁকা ছবির ঝলক ভাগ করে নিলেন তিনি। পড়ন্ত বিকেল অস্তমিত সূর্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন নুসরত। অন্য দিকে ঈশান রং করেছেন একটি গাজর ও একটি আম। মায়ের মতো খুদেও যে রং-তুলিতে পটু তা স্পষ্ট, বেশ সুন্দর করে রং করেছে সে নিজের আঁকার খাতাতে। ক্যাপশনে নুসরতলিখলেন, ‘মা বনাম ছেলে’।
আরও পড়ুন: বছরে ৩ মাস ‘নো ওয়ার্ক পলিসি’, জুন থেকে অগস্ট কোথায় গিয়ে থাকেন সইফ-করিনা?
আপাতত সন্দেশখালি ইস্যুতে জনতার রোষে আছেন নুসরত জাহান। গত কয়েক সপ্তাহে যখন সন্দেশখালি উত্তপ্ত, তখন একবারও সেখানে দেখা মেলেনি নুসরতের। যেখানকার মহিলা বাসিন্দারা ক্রমাগত দাবি করে আসছেন, কতটা নিরাপত্তাহীন তাঁরা সেখানে, তখন সেই এলাকারই মহিলা সাংসদ ব্যস্ত থেকেছেন নিজের ছবির প্রচারে, স্বামী যশের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপনে। কৈফিয়ত হিসেবে নুসরত জানিয়েছেন, প্রশাসন যাতে সুষ্টভাবে কাজ করতে পারে তাই তিনি যাননি সন্দেশখালিতে। কারণ তিনি গেলে আরও উত্তপ্ত হতে পারে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: দিদি নম্বর ১-এ রুটি বেললেন মমতা, কটাক্ষ সায়নের, ‘উনি নিরোর শাসন বেশি ভালোবাসেন’
যদিও, জনতার এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন, এভাবে কি নিজের দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেরে ফেলতে পারেন একজন তৃণমূল সাংসদ?