একেই বলে ভালোবাসার প্রতিদান! লকডাউনের সময় ওড়িশার ৩২ বছরের শ্রমিককে নিরাপদে ঘরে ফিরিয়েছিলেন সোনু সুদ। আর কৃতজ্ঞতা জানাতে অভিনব কাণ্ড ঘটাল এই যুবক। ঘরে ফিরে নিজের একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকান খুলেছে সে। সেই দোকানের নাম রাখলেন অভিনেতা সোনু সুদের নামে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে কেরল থেকে প্রশান্তকে ওড়িশায় নিজের শহরে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সোনু সুদ। গত ২৯শে মে প্রশান্ত সহ বেশ কয়েকজন পরিযায়ীর জন্য কেরল থেকে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেন সোনু সুদ। প্রশান্ত জানিয়েছেন, 'আমি কোচি এয়ারপোর্টের কাছে এক কম্পানিতে প্লামবার (কলের মিস্ত্রী) হিসাবে কাজ করচিলাম। প্রতিদিন ৭০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে সেখানে কাজ করতাম। তবে লকডাউন শুরুর পর কাজ চলে যায়। এবং জমানো টাকাও সব ফুরিয়ে আসছিল'। কিন্তু কেরল থেকে ওড়িশা ফেরবার কোনও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ছিল না,অগত্যা ভরসার একমাত্র আলো সোনু সুদ। তিনি উদ্ধার করেন প্রশান্তকে। এখন ঘরে ফিরে ওড়িশার শহরতলি হাতিনাকে একটা ওয়েল্ডিংয়ের দোকান খুলেছেন প্রশান্ত,সেই দোকানের নাম রাখলেন-'সোনু সুদ ওয়েল্ডিং ওয়ার্ক শপ'। ভূবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাতিনা।
সোনু সুদ জানিয়েছেন, প্রশান্ত তাঁর নামে দোকান খোলবার আগে এবং দোকানে তাঁর ছবি ব্যবহারের আগে তারকার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন । সোনুর কথায়, ‘আমি জীবনে অনেক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হিসাবে কাছ করেছি,তবে এটা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল’। শুধু তাই নয়, সোনু জানিয়েছেন ওড়িশা গেলে অবশ্যই প্রশান্তের দোকানে হাজির হবেন তিনি এবং তাঁর কাছ থেকে ওয়েল্ডিংয়ের কাজও শিখবেন।
করোনা সংকট ও লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ভরসার অপর নাম হিসাবে সঙ্গে থেকেছেন সোনু সুদ। দেশের হাজার হাজার শ্রমিককে ট্রেন,বাস,বিমানপথে নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরিয়েছেন সোনু সুদ। সোনুর এই ভালোবাসায় আপ্লুত পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ সদ্যোজাত সন্তানের নাম রেখেছেন সোনুর নামে,তো কেউ শপথ নিয়েছেন প্রতি বছর রাখি বাঁধবেন তাঁর হাতে। এক কথায় করোনা সংকটে রুপোলি পর্দার ভিলেন গোটা দেশের আসল হিরো হিসাবে সামনে এসেছেন।রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে বলিউডি বন্ধুর-সোনু সুদের তারিফ না করে থাকেননি কেউই।