২০২০ সালে যেন বলিউডে মৃত্যু মিছিল! করোনা সংকটের মাঝেই একের পর এক নক্ষত্রপতন বি-টাউনে। ইরফান খান, ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর রবিবার গভীর রাতে নক্ষত্রপতন বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। এদিন মাত্র ৪২ বছর বয়সে প্রয়াত মিউজিক পরিচালক জুটি সাজিদ-ওয়াজিদের ওয়াজিদ খান।
ওয়াজিদের মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ইন্টারনেটে ভাইরাল এই সঙ্গীতশিল্পীর একটি পুরোনো ভিডিয়ো। যেখানে হাসপাতালের বিছানায় বসে দাদা সাজিদ খানের জন্য গান গাইছেন ওয়াজিদ। দাদার জন্য হাসপাতালে বসেও একটাই গান বেছে নিয়েছেন ওয়াজিদ-'হুড় হুড় দাবাং'।
জানা গিয়েছে গত চারদিন ধরে চেম্বরের সুরানা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওয়াজিদ খান। কিডনিতে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দিন কয়েক আগেই তাঁর কিডনিতে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। রবিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওয়াজিদ। তাঁর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ ছিল।
ওয়াদিজ খানের এই ভিডিয়ো দেখে মন কাঁদছে অনুরাগীদের। সকলেই বলছেন, ‘সাজিদ ভাই উই মিস ইউ’।
বলিউডে প্রায় দু দশক দীর্ঘ ওয়াজিদ খানের মিউজিক্যাল কেরিয়ার।১৯৯৮ সালে সলমন খানের প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া ছবির সঙ্গে বলিউডে সফর শুরু সাজিদ-ওয়াজিদ জুটির। গত বাইশ বছরে এই জুটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ নিঃসন্দেহে দাবাং সিরিজ। এছাড়াও হ্যালো ব্রাদার, তুম কো না ভুল পায়েঙ্গে, হাম তুমহারে হ্যায় সনম, তেরে নাম,গর্ব,পার্টনার,ওয়ান্টেড, থেকে এক থা টাইগার, ফ্রিকি আলি, অসংখ্য হিট ছবির মিউজিকের দায়িত্বভার পালন করেছেন সাজিদ-ওয়াজিদ। তাঁর সঙ্গীত সফরের সিকিভাগ জুড়েই ছিলেন সলমন খান ও তাঁর ছবি।
এদিন ওয়াজিদকে স্মরণ করে সলমন টুইটারের দেওয়ালে লেখেন,'ওয়াজিদ তোমাকে আজীবন ভালোবাসব,শ্রদ্ধা করব এবং মনে রাখব।শুধু ব্যক্তি হিসাবেই নয় তোমার প্রতিভাকেও আমি মিস করব। অনেক ভালোবাসা। তোমার সুন্দর আত্মার শান্তি কামনা করি…'
এছাড়াও সারেগামাপা'র বিচারক হিসাবেও দেখা মিলবেছে ওয়াজিদ খানের। তিনি মিউজিক কম্পোজ করবার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ছবিতে গানও গেয়েছেন। তাঁর গাওয়া গান গুলির মধ্যে অন্যতম ডু ইউ ওয়ানা পার্টনার, সোনি ডে নখরে, হুড় হুড় দাবাং, চিনতা তা চিতা চিতা, তেরা হি জলবা প্রভৃতি।
এদিন ভারসোভা কবরস্থানে ওয়াজিদ খানকে গোরস্থ করা হল। তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিল সাজিদ খানসহ পরিবারের অন্য সকল সদস্যরা। পৌঁছে ছিলেন আদিত্য পাঞ্চলি। ওয়াজিদ রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে।