শাম্মি কাপুরকে চুমু খাওয়ার কথা দিয়েছিল নার্গিস, পরে হাতে ধরিয়েছিল এই জিনিস!

এক সময় শাম্মি কাপুরের দাদা রাজ কাপুরের সাথে নার্গিসের প্রেমের গল্প বিক্রি হচ্ছিল মুচমুচে তেলেভাজার মতো! তখনকারই এই ঘটনা।

শাম্মি কাপুরকে চুমু খাওয়ার কথা দিয়েও কথা রাখেননি নার্গিস। 

শাম্মি কাপুর একবার জানিয়েছিলেন নার্গিস তাঁকে চুমু খাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও পরে আর সেই কথা রাখেননি অভিনেত্রী। যা পরবর্তী মজার ছলেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন শাম্মি কাপুর। 

১৯৫৯ সালের সব থেকে বড় হিট ছবি ছিল রাজ কাপুর আর নার্গিসের ‘আওয়ারা’। বক্স অফিসে ধামাল তুলেছিল ওই ছবি। দর্শক বার বরা হলে টিকিট কেটে গিয়েছিলেন শুধু নার্গিসকে দেখবে বলে। তবে ‘আওয়ারা’তে নার্গিসের কাজ করা একসময় পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কারণ., অভিনেত্রীর পরিবার রাজি ছিলেন না। 

‘‘আমি তখন স্কুলে পড়ি। ও আমার দাদার ছবি বরসাত-র শ্যুট করছে। একদিন ওকে দেখি কিছু নিয়ে খুব চিন্তা করছে। জিজ্ঞাসা করায় জানায়, ওঁ দাদার পরের ছবি আওয়ারাতেও কাজ করতে চায়। কিন্তু ওর পরিবার রাজি হচ্ছে না। আসলে সেই সময় ওঁদের সম্পর্ক নিয়ে একটা গুজব ছড়িয়েছিল সব জায়গায়। আমি শুনে বলেছিলাম, ‘চিন্তা কোরো না, ভগবান চাইলে ঠিক তুমি এই ছবিতে অভিনয় করতে পারবে।’ আর এই শুনে বড় অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা নার্গিস আমায় বলেছিল, ‘যদি বাড়ির লোক রাজি হয়ে যায়, তাহলে আমি তোমায় চুমু খাব’।’’, একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন শাম্মি কাপুর।

শাম্মি আরও জানান, ‘‘এরপর বরসাত হিট করে। আওয়ারা ছবিতেও রাজের হিরোইন হন নার্গিস। আমি তখন স্কুল পাশ করে কলেজে ঢুকে আবার কলেজ ছেড়েও দিয়েছি। বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের থিয়েটার জয়েন করে গোটা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। এর অনেক পরে একবার আমার আরকে স্টুডিওতে নার্গিসজির সাথে দেখা হয়। উনি আমাকে দেখেই বলেন, ‘আমার নিজের করা প্রমিস মনে আছে। কিন্তু তুমি এখন বড় হয়ে গিয়েছ। চুমু খেতে পারব না। অন্য কিছু চাও।’ আমি বলি, ‘গ্রামাফোন’। ওঁ সাথে সাথে আমায় দোকানে নিয়ে গিয়ে একটা গ্রামাফোন আর ওঁর পছন্দের কয়েকটা রেকর্ডস কিনে দেয়।’’

নার্গিস আর রাজ কাপুর বেশ কিছু হিট ছবিতে কাজ করেছিলেন একসাথে। যার মধ্যে অনন্যতম ‘শ্রী ৪২০’, ‘চোরি চোরি’, ‘আগ অ্যান্ড আনারি’।