এসেছিলেন ‘আনচেইন মাই হার্ট’ বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে, সেখানে এসেই ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন পূজা। মহেশ ভাট কন্যা কথা বলেছেন বোন আলিয়াকে নিয়েও।
পূজা বলেন, ‘আমার বোন আলিয়া এত সফল কারণ ও জানে কী শেয়ার করতে হবে। ও জানে, কোনটা কোনটা নিজের কাছে রাখতে হবে, আর কোন নয়। তবে আমি শিখেছি যে আপনি যখন খাঁটি হন, যখন আপনি হৃদয় থেকে কথা বলেন, আর তখনই সংযোগ তৈরি হয়। যখন আমি আমার জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, আমি উপভোগ করছি তাঁরা যাকে খ্যাতির চতুর্থ মরসুম বলে। একজন শিল্পীর জীবনে চারটি ঋতু থাকে। প্রথমে তারা বলেন যে তাঁর সম্ভাবনা আছে, তারপর তাঁরা বলেন তিনি এসেছেন, তারপর তাঁরা বলেন তিনি শেষ হয়ে গিয়েছেন এবং তারপর আবারও বলা হয় যে তিনি ফিরে এসেছেন। আর তাই আমি বোম্বে বেগমদের সঙ্গে ফিরে এলাম।’
আরও পড়ুন-'সেকারণই হয়ত খুব কষ্টও পায়', শ্রাবন্তীকে নিয়ে একথা কেন বললেন পরিচালক শুভ্রজিৎ!
পূজা বলেন, ‘আমি এমন একটা বিয়ে করেছি যা ভেঙে গিয়েছে। এটা কোনও বেদনাদায়ক পরিস্থিতির কারণে ভাঙেনি, বরং বিষয়টা বিরক্তিকর ছিল। আমরা কেউই কাউকে প্রতারণা করিনি, আমাদের এই বিয়ে নিয়ে আগ্রহই ছিল না। একজন মহিলা হিসাবে, আমি বুঝতে পেরেছি যে সমাজ আমার জন্য যে বাক্সটি তৈরি করেছে তাতে টিক দেওয়ার সময় আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। এটা বুঝতে আমার কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে। আমি এমন একটা বিয়েতে আটকা পড়েছিলাম যা আমার জন্য আদৌ ঠিকঠাক ছিল না। আমি আমার নারী সত্ত্বা হারিয়েছি। আমি ভুলেই গিয়েছিলান আমি কে?। তিনি (আমার স্বামী) একজন দারুণ মানুষ ছিলেন, কিন্তু আমার মধ্যে একাকীত্ব তৈরি হয়।’
পূজা আরও বলেন, ‘আমি আমার ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে অ্যালকোহলে ডুবে যাই। আটকে পড়িছিলাম, যেন আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। প্রথমে একজন ভালো স্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছি, তারপর বোতল ডুব দিয়ে তৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করি। আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম খারাপ সম্পর্ক এবং বোতলের মধ্যে পার্থক্য কি? আমি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এসব করেছি। ধীরে ধীরে যন্ত্রণা ও শূন্যতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে শিখেছি। তারপর ধীরে ধীরে অ্যালকোহল মুক্ত হই। শান্তি ফিরে আসার পর সাত বছর হয়ে গিয়েছে।’