মাদককাণ্ডে গ্রেফতার বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমনির জামিনের আবেদন ফের না-মঞ্জুর করল আদালত। এদিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পরীমনির রিমান্ড এবং জামিনের শুনানি হয়। সিআইডির তরফে গতকাল (বুধবার) নতুন করে পরীমনির পাঁচদিনের রিমান্ড দাবি করা হয়েছিল। এরপরই নায়িকার বুধবারের পূর্বনির্ধারিত জামিনের আর্জির শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। নতুনভাবে পরীমনির আইনজীবীরা আবেদন জানানোর পর এদিন আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনে।
সিআইডির তরফে পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করে বলা হয়, এই মামলায় জামিনে ছাড়া পেলে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন পরীমনি। আদালত এদিন সিআইডির পাঁচ দিনের রিমান্ডের বদলে পরীমনির একদিনের সিআইডি রিমান্ড মঞ্জুর করে জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন।
আদালতের নির্দেশের পর পরীমনির আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘পরীমনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। সারাদেশের মানুষ তাকে চেনেন….. এ জন্য জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যাবেন না বলে আদালতে বলেছি। আদালত সব শুনে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন’।
সিআইডির তরফে রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছিল, ‘এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামলার ঘটনা ও নেপথ্যের হোতাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।… এ অবস্থায় মাদক ব্যবসার হোতাদের গ্রেফতার, মাদকদ্রব্যের মজুদ উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসার পেছনে অর্থের যোগানদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য পুনরায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন’।
এই নিয়ে মোট তিন বার পরীমনির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত, তৃতীয় দফায় সিআইডির হেফাজতে অভিনেত্রী। এর আগে চার দিন ও দু-দিনের রিমান্ডে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
গত ৪ঠা অগস্ট ঢাকার বনানীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় পরীমনিকে। তাঁর বাড়ি থেকে মদ ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব়্যাব। মাদক আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে পরীমনিকে।