বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে পরীমনির সম্পর্ক নিয়ে কিছু কম জলঘোলা হয়নি। সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্ক এতটাই তিক্ততায় ভরেছিল যে লাইভে এসে পরীমনি বলেছিলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ডিভোর্স চান। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রাজ-পরীমনির বিয়েটা এবার ভাঙল বলে। ভেবেছিলেন, ছেলে রাজ্যের প্রথম জন্মদিনটা হয়ত পরীমনি স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে মিলে সেলিব্রেট করতে পারবেন না। কিন্তু নাহ, পরীমনি-রাজের গল্পের চিত্রনাট্য এবার অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
শনিবার 'পরী' ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের ১০ পূর্তি উপলক্ষ্যে ফের একসঙ্গে হলেন রাজ ও পরী। তাঁদের সঙ্গে দেখা গেল পরীমনির বৃদ্ধ নানা শাসমুল হক গাজীকেও। 'পরী'র শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গেল ১০ মাসের জন্মদিন উপলক্ষে আনা কেক দু'হাতে চটকাচ্ছে ছোট্ট রাজ্য। মজাকরে ছেলের হয়ে সাফাই গেয়ে পরীমনিকে ক্যামেরার সামনে বলতে শোনা গেল, ‘ও খেতে পারে না বলে কি মাখামাখিও করতে পারবে না! বুঝলাম না তো! ওর জন্য কেক বানাচ্ছ, ও খেতেও পারবে না, মাখামাখিও করতে পারবে না তাও কি হয়?’। পরীমনির কথা শুনে হাসতে দেখা গেল শরিফুল রাজকে। এদিকে আবার ছোট্ট রাজ্যের হাত থেকে কেক খেতে চাইল ওর মাসী, তাঁকে খাওয়াতে গিয়ে কিছুটা কেক নিজের মুখেও পুড়ল রাজ্য।
আরও পড়ুন-‘২৪ ঘণ্টার মধ্য ডিভোর্স চাই’, লাইভে এসে কান্না পরীমনির! স্বামী রাজের জন্য রাখলেন শর্ত
আরও পড়ুন-'সানি লিওন পার্ট-২', শার্টের বোতাম খুলে ছবি দিতেই অশ্লীল আক্রমণের মুখে শ্রাবন্তী
এমনই একটি সুন্দর মহূর্তের ভিডিয়ো পোস্ট করে পরীমনি লিখেছেন, ‘আজ রাজ্যের দশ মাস পূর্ন হলো আলহামদুলিল্লাহ। Happy ten months Baajaan!মাসের দশ তারিখটা আমাদের জন্যে অনেক স্পেশাল! ব্যাস এতটুকুই……..’
পরীমনির অভিযোগ ছিল তাঁর দাদুর বাড়িতে থাকা নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাজের। এদিকে পরীমনির এই পোস্টে তাঁর দাদু, বোন, স্বামী, ছেলে সকলকেই একসঙ্গে দেখা গেল। নেটপাড়ার প্রশ্ন তবে কি ছেলের স্বার্থেই নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিলেন পরীমনি ও রাজ?
প্রসঙ্গত, পরীমনি ও শরিফুল রাজের মধ্যে সমস্যার সূত্রপাত তিন অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের ব্যক্তিগত ভিডিয়ো ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘিরে। ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছিল শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্ট থেকে। এই ঘটনায় পরীমনির দিকেই উঠেছিল অভিযোগের আঙুল। ঘটনা ঘিরে সুনেরাহ বিনতে কামাল ও পরীমনি একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। রাজও এই ঘটনায় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের লাইভে এসে পরীমনিকেই দোষ দিয়েছিলেন। তবে তারপরেও সন্তানের স্বার্থে 'পরী'কে ভালো রাখা ও থাকার কথা বলেছিলেন রাজ। বলেছিলেন, ‘আমি আমার সন্তানের মাকে সম্মান করি’। রাজের এমন কথাতেই কি তবে তিক্ততার বরফ গলল? মান-অভিমান ভুলে ফের এক হচ্ছেন রাজ-পরী?