২০২৩ সালের মার্চেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহা। ভালোবেসে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আগে ঘর বেঁধেছিলেন সারেগামাপা খ্যাত গায়ক, তবে সামাজিক বিয়ের বছর ঘোরবার আগেই আলাদা হয় ছাদ। এখন মোহরে পরিপূর্ণ দুর্নিবার। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে সংসার পেতেছেন গায়ক। খুব শীঘ্রই দুই থেকে তিন হচ্ছেন তাঁরা।
বিয়ের সাত মাসের মাথায় প্রেগন্যান্সির খবর ভাগ করে নেন ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহর। নতুন বছরেই জুটির কোল আলো করে আসবে প্রথম সন্তান। বিয়ে নিয়ে কটাক্ষকে পাত্তা দেননি দুজনে। এবার নতুন শুরুর অপেক্ষায়। গর্ভে বেড়ে উঠছে নতুন প্রাণ, মাতৃত্বের সেই অনুভূতি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন মোহর। এর মাঝেই গায়ক বরের কাছে মিষ্টি আবদার করলেন মোহর। দুর্নিবারের উদ্দেশ্যে তাঁর হবু সন্তানের মায়ের দাবি, ‘দুর্নিবার সাহা, আমার একটা নতুন বাড়ি চাই। কিছু একটা করো। চলো আমরা একটা বাড়ি বানাই একসঙ্গে’।
হঠাৎ করে দুর্নিবারের কাছে কেন এমন আবদার করে বসলেন মোহর? আসলে ফেসবুকের এক মজার খেলায় অংশ নেন দুর্নিবার ঘরণী। সেখানেই ভবিষ্যত দ্রষ্টা হয়ে ফেসবুক জানায়, ২০২৪ সালে ঐন্দ্রিলার জীবনে আসবে- ‘সুখী দাম্পত্য’, ‘নতুন বাড়ি’ এবং ‘এক সন্তান’। প্রথমটি আগেই পূর্ণ হয়েছে, দ্বিতীয়টি ২০২৪-এ পূরণ হবে। তাই নতুন বাড়িটাই বা বাদ যায় কেন?
২০২১-এর ডিসেম্বরে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে গিয়ে প্রথম আলাপ হয়েছিল মোহর আর দুর্নিবারের। মাস কয়েক যেতে না যেতে মোহরকে প্রেম প্রস্তাব দেন সারেগামাপা-খ্যাত গায়ক। সেই বছরের শুরুতেই বিয়ে ভেঙেছিল প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষীর সঙ্গে। ২০১৭ সালে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইনি বিয়ে সারেন দুর্নিবার। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে ঘটা করে সামাজিক বিয়ে সেরেছিলেন। তবে কয়েক মাসের মধ্য়েই ছন্দপতন।
১৫ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় মা হওয়ার ঘোষণা করেছিলেন ঐন্দ্রিলা সেন ও দুর্নিবার সাহা। লিখেছিলেন, ‘আমরা খুব উত্তেজিত জানাতে পেরে, আসছে ছোট্ট চমৎকার। এভাবে ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে আমরা ক্লান্ত। এমন একটা কাজ করছি যা আমরা অনেকদিন ধরেই চেয়ে এসেছি।’
বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই কেন মা হওয়ার সিদ্ধান্ত? এই প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলা জানান, ‘আমরা দুজনেই জানতাম সন্তান চাই। ভাবলাম, দেরি করে লাভ নেই’। আগামী বছরের গোড়াতেই আসবে মোহর-দুর্নিবারের প্রথম সন্তান। অধীরে তারই অপেক্ষা করছেন হবু মা আর বাবা।