দীর্ঘ ৯ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে রবিবার, ২৯ অক্টোবর চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নের তাজ যৌথ ভাবে উঠল স্নেহাশ্রিতা এবং রাজন্যার মাথায়। এত বড় বড় প্রতিযোগিদের হারিয়ে সেরার তাজ মাথায় পরে কেমন লাগছে তার? বাড়ির লোকজনই বা কী বলছেন সবটাই রাজন্যা ভাগ করে নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে। অনুভূতির কথা জানালেন তার মাও।
এতজনের মধ্যে মেয়ে সেরার সেরা হল, কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
রাজন্যার মা: ভীষণই গর্ব হচ্ছে। যখন চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করছে তখন ভাবছি আমি কি ঠিক শুনছি নাকি স্বপ্ন দেখছি? ও কি সত্যিই জিতেছে? প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। আসলে অনেক লড়াই করে ওকে এতদূর নিয়ে এসছি। আমি নিজে ছোটবেলায় নাচ শিখতাম কিন্তু অনেক তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যায় আমার। তারপর নাচ বন্ধ হয়ে যায়। মেয়ে হয় যখন তখন ভেবেছিলাম ওকে দিয়েই স্বপ্নপূরণ করব। দেখলাম ও নিজেও গান শুনলে হাত পা নাড়তো। তখনই নাচে ভর্তি করালাম ওকে। এর আগেও দুটো রিয়েলিটি শোতে গিয়েছিল, কিন্তু বাদ হয়ে যায়। এখানেও অডিশনে নাম দেব কিনা স্থির করে উঠতে পারিনি প্রথমে।
কেন?
রাজন্যার মা: অনেকেই বলতো ও কি পারবে? ও কি সিলেক্ট হবে? অত কি ভালো নাচ পারে? আত্মীয়রা, পরিচিতরা যখন এসব বলতো খুব খারাপ লাগতো। তবুও ওকে নাচের ক্লাস নিয়ে যেতাম, শিখিয়েছি, তৈরি করেছি। তারপর অডিশনে নাম দিল। সিলেক্ট হল। ভালো পারফরমেন্স দিয়ে সবার মন জিতল। মাঝে একবার বাদ হয়ে যায়, আবারও ফিরে এসে যখন জিতল তখন ভীষণ আনন্দ হয়েছে। আসলে আমরা সবই করি একটা লক্ষ্য নিয়ে। আর আমার লক্ষ্যই ছিল যে আমি যেটা পারিনি মেয়ে করবে, মেয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর সামনে নাচ করেছে, এতেই আমি গর্বিত।
আরও পড়ুন: 'দুবার অ্যাকসিডেন্ট হয়, ভাবিনি...' প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডান্স বাংলা ডান্সে কোন মন্ত্রে সফল হলেন দিশা?
আরও পড়ুন: ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে নারীশক্তির জয়গান! হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চ্যাম্পিয়ন কে?
রাজন্যা তো এখন ভীষণই ছোট, ওকে নিয়ে এবার আপনার পরিকল্পনা?
রাজন্যার মা: ওকে এবার হিন্দি রিয়েলিটি শোয়ের জন্য তৈরি করব। আমি চাই ও আরও শিখুক, যা জানে না, যেটা এখনও পারে না সেগুলো রপ্ত করুক। শিখুক। তাই এখন সেটাই লক্ষ্য।
কেবল মা নয়, এদিন কথা হয় ছোট্ট রাজন্যার সঙ্গেও। সেরার শিরোপা জিতে সে এখন খুশিতে ডগমগ। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কেমন লাগছে জানায় খুব ভালো লাগছে। এমনকি তার নাকি ‘সেলিব্রিটি সেলিব্রিটি’ ফিল হচ্ছে! মনের গোপন ইচ্ছেও এদিন প্রকাশ করে রাজন্যা।
ডান্স বাংলা ডান্স তো জিতলে, এবার কী হতে চাও?
রাজন্যা: আমি অভিনেত্রী হতে চাই। শুভশ্রী ম্যামের মতো নাম করা অভিনেত্রী হতে চাই।
তাহলে নিশ্চয় ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারকদের মধ্যে উনিই সব থেকে পছন্দের ছিল?
রাজন্যা: না, মৌনী ম্যান আমার ফেভরিট। ওঁর নাচ আমার খুব ভালো লাগত।
তাই নাকি! তা এই রিয়েলিটি শো জেতার পর বন্ধু, স্কুল থেকে কী বলছে?
রাজন্যা: বন্ধুরা খুব খুশি। ওরা তো রোজ ফোন করে। স্কুল থেকেও আমায় ডেকে পাঠিয়েছে। দেখা করতে বলেছে। সবাই ভীষণ খুশি আমি জিতেছি বলে।