‘ধন্যি মেয়ে’র সেটে শুরু এই প্রেমের কাহিনি। এরপর এক দশক অতিক্রান্ত, প্রেমটা জমিয়েই করছিলেন দুজনে। তবে আচমকাই নাকি ছন্দপতন। টলিপাড়ায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জোর ফিসফিসানি ‘বাহামণি’ রণিতা দাস আর সৌপ্তিক চক্রবর্তীর মাখামাখো সম্পর্ক জুড়ে নাকি এখন শুধুই তিক্ততা। কিন্তু কী কারণে ১৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন দু'জনে? সেই নিয়েও টেলিপাড়ায় চর্চার শেষ নেই। উঠে আসছে তৃতীয় ব্যক্তি প্রসঙ্গও।
সৌপ্তিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আপতত কথাই বলতে চান না রণিতা। অথচ প্রেম নিয়ে কোনওদিনই লুকোছাপা করেননি এই জুটি। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণিতা জানান-'ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলব না ঠিক করেছি। আপতত কাজে মন দিতে চাই'। তাহলে কি সত্যিই ব্রেকআপ? নায়িকার জবাব- ‘আমার মনে হয় কোনও কিছু সঠিক ভাবে না চললে সেটাকে টেনে লম্বা করার কোনও মানে নেই। সেটাকে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা উচিত। কারণ সেটা যত বাড়ানো হবে ততই তিক্ততা বাড়বে।’ স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও রণিতার কথায়, স্পষ্ট ইঙ্গিত আপতত একসঙ্গে নেই তাঁরা।
যদিও সৌপ্তিক-রণিতার সম্পর্কে ভাঙনের কথা এই প্রথম সামনে আসেনি। গত বছর জুন মাসেও এই নিয়ে তোলপাড়া হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। শোনা গিয়েছিল অন্য নায়িকার প্রেমে পড়ে রণিতাকে ভুলেছেন সৌপ্তিক। সেইসময় হিন্দুস্তান টাইমসকে নায়ক জানিয়েছিলেন- ‘কুছ তো লোক কহেঙ্গে, আগেও অনেকবার এমন কথা শুনেছি। বাকিটা সময় বলবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল'।
শীঘ্রই রাজর্ষি দে-র ‘মায়া’য় দেখা যাবে ‘ইষ্টিকুটুম’ খ্যাত অভিনেত্রীকে। আপতত সেই নিয়েই ব্যস্ত রণিতা। ইন্ডাস্ট্রিকে ১৪ বছর পার করে ফেলা রণিতার কেরিয়ারের মাইলস্টোন ‘ইষ্টি কুটুম’। মাঝপথে এই সিরিয়াল ছেড়ে দেওয়ায় বিতর্কও কম হয়নি। যদিও সেই নিয়ে আফসোস নেই তাঁর, শারীরিক কারণে এই সিরিয়াল ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘জীবনে যখন ভাল কিছু আসে, তার বিনিময়ে অনেক কিছু দিতে হয়। সেই সময় আমি শারীরিক ভাবে সুস্থ ছিলাম না। অনেকেই জানেন না, আমার শিরদাঁড়ায় সমস্যা হয়েছিল। ওজন বেড়ে গিয়েছিল। তিন-চার বছর আমার নাচ বন্ধ ছিল। তখন বুঝতে পারছিলাম না, কেরিয়ারকে গুরুত্ব দেব, না কি নিজের স্বাস্থ্যকে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চরিত্রটা থেকে সরে আসার।’
অভিনেত্রীর সংযোজন এখনও বছরে দু'টো সিরিয়ালের অফার আসে তাঁর কাছে, তবে ছোটপর্দায় ফিরতে আগ্রহী নন রণিতা। কারণ সিরিয়ালের সেটে ১৪ ঘন্টা সময় দেওয়ার চাপ নিতে পারবেন না তিনি। তাই ফিল্ম আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মই এখন পাখির চোখ রণিতার।