হিন্দি টিভি জগতের খুব পরিচিত নাম রতন রাজপুত। ২০০৯ সালের আগলে জনম মোহে বিতিয়া হি কিজো পায় বড় সাফল্য়। সেখানে লালির চরিত্রে দেখা মিলেিল রতনের। এরপর আরও কিছু হিট শো-তে কাজ করেন রতন, যা তাঁকে হিন্দি ছোট পর্দার চেনা ও চর্চিত মুখ করে তুলেছে। তবে এই অভিনেত্রীর দাবি, কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে নানা অপ্রীতিকর অবস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী সি-গ্রেড সিনেমাতে কাজও করে ফেলছিলেন আরেকটু হলে।
রতন জানান, ২০০৭ কি ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের ওশিওয়ারার একটি রেস্তোরাঁর কাছে একটি অডিশনের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। পরিচালক সুপরিচিত ছিলেন, এবং ইন্ডাস্ট্রির কিছু পরিচিত মুখও এসেছিলেন অডিশনে। কিন্তু পরিচালক অভদ্রভাবে কথা বললে তিনি একটু ঘাবড়েই যান।
রতনের দাবি, ইন্ডাস্ট্রির কিছু চেনা মুখ-ই লুকিয়ে ‘সি-গ্রেড’ সিনেমার কাজ করে। আর কেউই এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চায় না। আর রতন সেই অডিশনে আরেকটু হলেই পরে যেতেন এরকম কিছু জালের খপ্পরে।
রতন জানান, সেদিন অডিশনে তাঁর সন্দেহ লাগলেও বেরিয়ে আসেননি। বরং কো অর্ডিনেটরের কথা মতো শট দেন। তাঁর প্রশংসা করে এরপর ওই ব্যক্তি তাঁর হাতে ধরিয়ে দেয় একটি কোল্ড ড্রিংকসের গ্লাস। তিনি না খেতে চাইলেজোরাজুরি করেন। বাধ্য হয়েই তা খেতে হয় রতনকে। এরপর সেই কো-অর্ডিনেটর জানান, রতনকে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য ডাকা হবে।
রতনের দাবি, বাড়ি ফিরে এসে তাঁর অস্বস্তি বাড়তে থাকে। তবে তাঁর সঙ্গে যে বন্ধুটি ছিল, সেও পানীয় খেয়েছিল, তাঁর বরং কিছুই হয়নি। তখনই রতন বুঝতে পেরে যান তাঁর পানীয়ে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময়তে, রতনকে ফোন করে আরেকটি অডিশনের জন্য ডাকা হয়। যা অভিনেত্রীর সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেয়। ওই অবস্থাতেও বুদ্ধি করে রতন সেই বান্ধু ও তাঁর রাখি ভাই-কে সঙ্গে করে নিয়ে যান অডিশন দিতে।
এরপর ঘটনা অবাক করবে যে কাউকেই। রতন যখন পৌঁছন লোকেশনে, দেখেন গোটা এলাকা আলো-আঁধারি। একজন লোক তাঁকে একটি ঘরের দরজা খুলে দেয়। যে ঘরের বিছানা দেখেই বোঝা যায় সেটি সদ্য ব্যবহার করা হয়েছিল। রতন একটি যুবতী মেয়েকেও ঘরে দেখতে পায় যার বয়স মাত্র ১৭-১৮, যে পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। বিগ বস ৭-এর প্রাক্তন প্রতিযোগী জানান, রতন তাঁর রাখি ভাইকে সঙ্গে আনায় বিরক্তই হয় সেই কোঅর্ডিনেটর। তবে তাঁরা চেয়েও আর পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারেনি। রতনও পালিয়ে পাড়ি চলে আসেন। আজও তাঁর আফশোস, সেই মেয়েটিকে কোনও সাহায্য করতে পারেননি।
এই ঘটনা উল্লেখ করেই অভিনেত্রী জানান, ‘সেদিন যদি আমি সজাগ না থাকতাম তাহলে হয়তো আমার ব্লু ফিল্ম এতদিনে বাজারে ছড়িয়ে যেত।’
সি-গ্রেড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আরও কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী শেয়ার করেছেন, ‘এই লোকেদের একটি গ্যাং আছে এবং সেখানে একজন বড় পরিচালকও রয়েছে এবং তার চারপাশে সবকিছু ঘটছে। আমি জানি না এই বড় পরিচালক সেখানে সেদিন কী করছিলেন এবং তার কী ভূমিকা, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তার সেখানে থাকা উচিত ছিল না।’ তিনি এখনও ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন কি না জানতে চাইলে রতন জবাব দেন, ‘হ্যাঁ’।