করোনা ও লকডাউনের আবহে বহু মাস পর কোনও ছবি মুক্তি পেল প্রেক্ষাগৃহে। বেশ বড় রিস্ক নিয়েছেন অক্ষয় কুমার। যেখানে সলমন-রণবীরের মতো তারকারা ঝুঁকছেন ওটিটি-র দিকে, সেখানে ‘বেল বটম’-র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি অবশ্যই ছিল একটা বড় রিস্ক। মুক্তির প্রথম দিনই ৩ কোটি টাকা কালেকশন করে নেয় এই ছবি, শুক্রবার ‘বেল বটম’ দেশের বক্স অফিসে ঝুলিতে পুরেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা, যার জেরে দু-দিনে এই ছবির কালেকশন দাঁড়াবে পাঁচ কোটির বেশি।
অক্ষয়ের এই স্পাই থ্রিলার বেশ মনে ধরেছে সমালোচকদের। ‘বেল বটম’ দেখে কেমন রিভিউ দিলেন Fever 104 FM-এর RJ Dodo, চলুন সেটাই দেখে নেওয়া যাক। প্রথমেই বলে দেই ডোডো একেবারে মারকাটারি একটা রেট্রো লুকে গিয়েছিলেন সিনেমা দেখতে। চোখে লাল সানগ্লাস পরে ডোডো-র দেওয়া সেই রিভিউ-র থাকল সকলের জন্য।
ডোডো-র কথায়, ছবির শুরুর দিকটা একটু বেশি টেনে দিয়েছেন পরিচালক রঞ্জিত তিওয়ারি। তবে সে খামতি মিটিয়ে দিয়েছেন অক্ষয়, হুমা, লারা দত্তার অভিনয় আর গল্পের টানটান মোড়। অক্ষয় কুমার বরাবরই ছবিতে নিজের প্রাণ ঢেলে দেন। একেকটা চরিত্রের জন্য একেকভাবে আসেন দর্শকদের সামনে। এই ছবিতে বানি কাপুরের অভিনয়ও বেশ প্রশংসাযোগ্য। আর ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে লারা দত্তার প্রস্থেটিক মেকআপ যতটা ভালো, ঠিক ততটাই ভালো তাঁর অভিনয়।
তবে ফ্ল্যাশব্যাক, রোম্যান্টিক দৃশ্য , ঝিনচ্যাক গানের দাপাদাপি একটু কম হলে ভালো হত বলেই মত ক্রাইম মাস্টার ডোডো-র। যদিও করোনা আবহে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সিনেমা হল, সেখানে সিনেমা হলে ছবি মুক্তির যে সিদ্ধান্ত অক্ষয় নিয়েছেন সেটার প্রশংসা করেছেন তিনি। আর তাই হল মালিকদের লোকসানের কথা মাথায় রেখে সকলকেই অনুরোধ করেছেন ছবি দেখার। ‘মাস্ট ওয়াচ, ভ্যালু ফর মানি’ এই সিনেমাকে দিয়েছেন পাঁচে সাড়ে তিনটে চুমু।