দিন দুই ধরে রূপম ইসলামের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে শো শেষ করে ক্লান্ত বিধস্ত রূপম ইসলাম ঢুকছেন বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আর তখনই কিছু ছবি শিকারী সেলফির আশায় ঘিরে ধরে তাঁকে। মেজাজ হারিয়ে সেইসময় রূপম এমনকিছু ভাষা ব্যবহার করেন যা হয়তো লেখার যোগ্য নয়। এমনকী, তেড়ে যেতেও দেখা যায় গায়ককে।
আর তারপর থেকেই সামাজিক মাধ্যম কাঠগড়ায় তোলে বাংলা রক গানের এই অন্যতম পথিকৃতকে। কীভাবে ভক্তদের সঙ্গে এমন আচরণ করলেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে সর্বত্র। কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিয়ো ক্লিপিংস জায়গা করে নিয়েছে সংবাদমাধ্যমেও।
তবে রাণাঘাটের শো-র মাঝে স্টেজেই এই নিয়ে কথা বললেন রূপম। জবাব দিলেন সব নিন্দুকদের। বলতে শোনা গেল, আমি আর গান গাইব না। আপনাদের সমাজ খুব শিষ্ঠ সমাজ, আপনারা এরকমই থাকুন। কিন্তু আমি একজন রক শিল্পী। আপনাদের ছাঁচে নিজেকে মেলাতে পারব না। নিজেকে এভাবে মেলাতে পারব না। এই শিষ্ঠামিতে আমি নেই। আপনারা অন্য কাউকে বেছে নিন। যেকটা অনুষ্ঠান চলবার আমি করব। তারপর আর গান গাইব না।’
এখানেই থেমে না থেকে রূপম ইসলাম আরও বললেন, ‘আমার আর নতুন করে কিছু দেওয়ার নেই আপনাদের। এই পৃথিবী ফেসবুকের পৃথিবী। এই পৃথিবী সেলফি তোলার পৃথিবী। এই পৃথিবী আমার মতো শিল্পীদের জন্য নয়। ঠোঁটকাটা লোকেদের জন্য তো একেবারেই নয়। আমি বেমানান। আমার যেটা বলবার সেটাই বলব। আমার বৈঠকখানায় বসে বলব। আশা করি সেখানে কেউ ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে আসবে না। যেই কটা অনুষ্ঠান ঘোষণা করা আছে অবশ্যই করব। তারপর আর করব না।’
যারা তাঁর ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাঁদের উদ্দেশে রূপম বলে উঠলেন, ‘আমার বাবা-মা কষ্মিনকালেও বাংলা রক লেখেনি। আমার বাবা বলেছিল তুই তো ক্লাসিক্যাল গান গাস, তাহলে কেন এসব ছাইপাশ করতে গেলি। আমি গিটারটা ছুঁড়ে টিভিটা ভেঙে দিয়েছিলাম। আমিই সেই লোক। মনে রাখবেন আমিই সেই লোক… বাংলা রকের একটা ছোট প্রস্তাবনা দিলাম। ভেবো না আজকের বা কালকের ব্যাপার নিয়ে কিছু বললাম। ওসব কে বলে। যত তাত্ত্বিক লোক বলেছিল তাঁদের আমি ভুল প্রমাণ করেছি। হ্যাঁ লোকটা অহংকারী, হ্যাঁ লোকটা অসভ্য জানোয়ার। কিন্তু আমি আমিই।’