আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাতে জড়ালেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন (মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরাম) নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন প্রাক্তন সদস্য রূপাঞ্জনা ওরফে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্য সেন, তাতেই ক্ষুব্ধ সংগঠন। রূপাঞ্জনা এক সাক্ষাৎকারে ১০ বছর ধরে ফোরামের কার্যকরী কমিটির সদস্য থাকার পর সংগঠনের সঙ্গে যোগ ছিন্ন করার প্রসঙ্গে দাবি করেছেন, ‘শিল্পীদের হিতে কাজ করে না আর্টিস্ট ফোরাম’। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই পালটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করল আর্টিস্ট ফোরাম। রূপাঞ্জনার অভিযোগ সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা’ জানাল সংগঠন।
সাক্ষাৎকারে ঠিক কী বলেছেন রূপাঞ্জনা? অভিনেত্রী বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী সময়ে ফোরামকে আর্টিস্টদের হিতের বিপরীতে কাজ করতে দেখেছি’। আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী আরও জানান, শিল্পীদের স্বার্থে তৈরি হওয়া ফোরামের অস্তিত্ব সংকটে। প্রযোজকরা সময়মতো টাকা না দিচ্ছে না, তাতে সমস্যায় পড়ছেন শিল্পীরা। রূপাঞ্জনার এই বক্তব্য নিয়েই চটে লাল আর্টিস্ট ফোরাম। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজেপির সদস্যা রূপাঞ্জনার বক্তব্যকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলেই তোপ দাগল সংগঠন। পাশাপাশি সংস্থার আরও দাবি, মাত্র পাঁচ বছর ফোরামের সদস্যা ছিলেন রূপাঞ্জনা। তারা জানায়, ‘২০২০ সালের মার্চ মাসের পর তিনি ( রূপাঞ্জনা) ফোরামের সদস্য না থাকা হেতু সংস্থার কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনও ভাবেই অবহিত নন।’ শুধু তাই নয়, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফোরামের সদস্য নন, এমন কোনও শিল্পীর ফোরাম সংক্রান্ত অনধিকার চর্চা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’
এরপর করোনাকালে এবং পরবর্তী সময়ে আর্টিস্ট ফোরাম কীভাবে শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে আপদে-বিপদে তার খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাকালে ৬৭৭ জন সদস্যকে ৩৬ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হয়েছে। কলাকুশলীদেরও ৩ লক্ষ টাকার অর্থ সাহায্য করা হয়েছে ফেডারেশন মারফত, সেফ হোমে শতাধিক কোভিড আক্রান্তকে রাখা হয়েছে, শিল্পী ও কলাকুশলীদের বকেয়া উদ্ধার করতে সাহায্য করা হয়েছে।
এরপর রূপাঞ্জনাকে সাবধান-বাণী ফোরামের, বলা হয়েছে আগামী সাতদিনের মধ্যে রূপাঞ্জনা মিত্র প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্য ফিরিয়ে না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেবে আর্টিস্ট ফোরাম। এই প্রসঙ্গে রূপাঞ্জনা মিত্রের কী বক্তব্য? অভিনেত্রী জানান তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে তিনি জেনেছেন, তবে তাঁর যে সাক্ষাৎকারে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, সেটি ব্যবস্থার জেরে পড়ে উঠতে পারেননি তিনি। সবটা দেখে-বুঝে তবেই মন্তব্য করবেন তিনি, জানান রূপাঞ্জনা।