রাত পোহালেই বিয়ে। ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার রীতি মেনেই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। পরিণতি পাবে তাঁদের ৬ বছরের প্রেম। যদিও বয়সে ৬ বছরের ছোট প্রেমিককে বিয়ে নিয়ে কিছু কম চর্চা হয়নি। তবে সেসবে থোড়াই কেয়ার! একে অপরের সঙ্গেই নিজেদের সুখের নীড় বাঁধতে চলেছেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। বিয়ের আগে বেজায় ব্যস্ততা, তারই মাঝে বিয়ের সাজগোজ সহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র।
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রূপাঞ্জনা জানান, রাতুলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সাড়ে ৬ বছরের। আর হবু বর রাতুল মুখোপাধ্যায় জানান, করোনার সময় তাঁদের আলাপ, তিনদিনের মাথাতেই তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেন। রাতুলের কথায়, ‘রূপাঞ্জনাকে দেখেই ভালো লেগেছিল। মনে আছে শীতকালে আমাদের প্রথম দেখা।’
বিয়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রূপাঞ্জনা বলেন, ‘বিয়ের পরিকল্পনা আমাদের ছিলই, তবে আমি রিয়ানের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তবে আমি রাতুলের কাছে কৃতজ্ঞ, ও আমার জন্য অপেক্ষা করেছে। আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি। আমাদের বিয়ের জন্য রিয়ানের বেড়ে ওঠা জরুরী ছিল।’
ছেলে রিয়ানকে কীভাবে বিয়ের কথা বলেছিলেন, সেপ্রসঙ্গে রপাঞ্জনা বলেন, তিনি ছেলেকে বুঝিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর জীবনে নতুন বন্ধু এলে। পরে সেই বন্ধুর সঙ্গে রিয়ানের আলাপ করিয়ে দেন অভিনেত্রী। তারপরই রাতুল-রিয়ানের মধ্যে আলাদা বন্ধুত্ব তৈরি হয়। রিয়ান পড়াশোনার যে বিষয় ভয় পেত রাতুল দেখিয়ে দিত। রিয়ান এখন আমাকেই ভয় পায়। রূপাঞ্জনার কথায়, ‘রাতুলের কাছেই ওর যত আবদার। ও রাতুলকে চ্যাম্পস বলে ডাকে। আমার বাড়িতে পুজোর পরিবেশ আছে, বুধবার গণেশজির পুজো হয়, মঙ্গলবার হনুমানজির। বিয়েটাও আসলে পুজো। রাতুল আমাদের সঙ্গে থাকবে বলে রিয়ানও খুশি।’
বয়সে বড় মহিলাকে বিয়ে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন, তার উপর যাঁর সন্তান রয়েছে। এবিষয়ে রাতুলের সাফ কথা, ‘এতো সমাজের ধারণা, আমি এসব নিয়ে ভাবি না।’
বিয়েতে কী পোশাক পরছেন? রূপাঞ্জনা জানান, তিনি সিঁদুর রঙের বেনারসি পরবেন। গায়ে হলুদ থেকে সিঁদুরদান তাঁদের সবই হবে। বর রাতুল মুখোপাধ্যায়ও পরবেন সিঁদুর রঙা পাঞ্জাবি। আর রিয়ানের পাঞ্জাবিটা রাতুলই কিনে দিয়েছে বলে জানান রূপাঞ্জনা। রাতুল কিছু কেনার আগে হোয়াটসআপ কলে তাঁকে দেখিয়ে নেন বলেও জানান অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রায় ১৭ বছর আগে ভালোবেসে রেজাউল হককে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। যদিও ভিনধর্মে সেই বিয়ে ছিল পরিবারের অমতেই। ২০০৭ সাল নাগদ বিয়ে হয় তাঁদের।তবে সেই দাম্পত্য সুখের হয়নি। ২০১৭ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের। এরপর একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছেন রূপাঞ্জনা।