সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুরের বড় ছেলে তৈমুর আলি খান ইতিমধ্যেই একজন ছোট্টখাট্টো তারকা। বয়স চারের এই খুদের ব্যবহার যতটা মিষ্টি ঠিক ততটাই সুন্দর দেখতে তাঁকে। তবে অনেকেই যা জানেন না তা হল সময় পেলেই বাবা-মায়ের অভিনীত ছবি দেখতে বসে যায় এই খুদে। সইফ-করিনাকে রুপোলি পর্দায় সে কাজ করতে দেখে সে এখন বেশ অভ্যস্ত। যত বড় হচ্ছে সিনেমাতে তাঁর অভিনয় নিয়ে ক্রমশই জিজ্ঞাস্য বাড়ছে তৈমুরের, দাবি 'নবাব'-এর। তাই তো বাবা সইফের নতুন ছবি 'বান্টি অউর বাবলি ২' নিয়েও একগুচ্ছ সওয়াল সে তুলে ধরেছে।
'বান্টি অউর বাবলি ২' ছবিতে ঠগবাজি ছেড়েছুড়ে এক নিপাট গৃহস্থর জীবন কাটানো সইফকে কতকটা বাধ্য হয়েই ফের পুরোনো জীবনে ফিরতে হয়। সে ছবি সম্পর্কে 'পিঙ্কভিলা '-কে সাক্ষাৎকার দেওয়াকালীন সইফ জানান তৈমুরের এখন থেকেই সিনেমার প্রতি বেশ মনযোগ। 'ছবিতে কিংবা ট্রেলারে আমাকে দেখবে আর হাজার এটা ওটা প্রশ্ন শুরু করবে। বান্টি অউর বাবলি-তে আমি ভালো লোক না দুষ্টু লোক? কেন এই ছবিতে ভালো হলে তুমি? আচ্ছা, তুমি কি এই সিনেমায় মানুষ খুন করবে ? কেন তুমি এখানে মানুষদের ঠকাবে? এরকম হাজার হাজার প্রশ্ন', মুচকি হেসে জানিয়েছেন সইফ। সহজ কথায়, সইফের সিনেমা নিয়ে আজকাল বেজায় উৎসাহিত এবং কৌতূহলী তৈমুর।
আর সইফ তখন কী জবাব দিয়েছিলেন? আমতা আমতা করে কোনওরকমে ছোট্ট তৈমুরকে বুঝিয়েছিলেন যে ছবিতে তাঁর চরিত্রটি খুবই মিষ্টি , কারওর খারাপ চায় না সে তাই খুন করার তো প্রশ্নই নেই। তবে হ্যাঁ, মানুষদের একটু আধটু ঠকাতে হয়েছে তাঁকে। তবে তৈমুর যে বুঝতে শিখেছে যে এই সিনেমার সম্পূর্ণ বিষয়টিই কাল্পনিক এবং নাটক সে বিষয় নিশ্চিত সইফ।
তবে ইতিমধ্যেই ছবি সমালোচকরাও হতাশ এই ছবি দেখে। দর্শকের দলও যে বিলকুল খুশি নয় তার হাতেগরম প্রমাণ ঢিমেতালে চলা ছবির বক্স অফিস কালেকশন। সইফ, রানি-দের মতো বড়মাপের অভিনেতারাও 'বান্টি অউর বাবলি ২'-কে রক্ষা করতে ব্যর্থ।