Saira Banu-Aamir: 'ফিল্মি চাকচিক্যের বাইরে মানুষটা অন্যরকম', নববর্ষে একাকী সায়রা বানুর পায়ের কাছে বসে গল্প করলেন আমির

‘আমি, আমির, কিরণ ও জিনাতকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত ছিলাম। জিনাত যিনি আমিরের মা, একজন একেবারেই করুণাময়ী ও ব্যতিক্রমী মহিলা। ওঁর আমাদের বাড়িতে আসার বিষয়টা চমৎকার ছিল। ওঁদের সঙ্গ, আন্তরিক কথোপকথন এবং দিলীপ সাহেবের সঙ্গে স্মৃতির গলিতে হাঁটার মাধ্যমে নতুন বছরটা আনন্দের সঙ্গে শুরু হয়েছে।’

সায়রা বানু-আমির খান

দিলীপ কুমারকে ঘিরেই ছিল তাঁর জীবন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন বর্ষীয়ান সায়রা বানু। নতুন বছরের শুরুতে তাই তাঁকে সঙ্গ দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন আমির খান। আমিরের সঙ্গেই তাই নববর্ষকে বরণ করে নিলেন সায়রা বানু। ছিলেন আমিরের মা জিনাত হুসেন এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। নতুন বছরে বাড়িতে আসা অতিথিদের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন সায়রা বানু, সঙ্গে আবেগতাড়িত হয়ে লিখেছেন বেশকিছু কথা। সায়রা বানু লিখেছেন, আমির খান কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

কিংবদন্তি সায়রা বানুর শেয়ার করা ছবিতে আমির খানকে সোফায় না বসে তাঁর পায়ের কাছে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আমিরের ঠিক পিছনে সোফায় বসে রয়েছেন অভিনেতার প্রাক্তন দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাও। সায়রা বানুর পাশে বসে রয়েছেন আমিরের মা জিনাত হুসেন। ছবিতে আমিরের বোন নিখাত খানকেও অপরপ্রান্তে সোফায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, আরও এক বর্ষীয়ান মহিলাকেও। তাঁদের একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতেও দেখা গিয়েছে।

আবেগ তাড়িত সায়রা বানু লিখেছেন, ‘আমির কিছু কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিলেন। আমার মনে আছে, যখন আমি দিলীপ সাহেবের আত্মজীবনী, দ্য সাবস্ট্যান্স অ্যান্ড দ্য শ্যাডো বের হবে তখন আমির কল্পনাতীত ভাবে সবরকম উপায়ে এগিয়ে এসেছিলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এটা এইরকমই একটা মুহূর্ত। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চাকচিক্য এবং গ্ল্যামারের বাইরে গিয়ে তিনি কী ধরনের ব্যক্তি এটা আপনাকে প্রকৃত অর্থেই উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।’

নতুন বছরের শুরুটা আমির, কিরণদের সঙ্গে কাটানো প্রসঙ্গে সায়রা বানু লিখেছেন, ‘গতকাল, আমি, আমির, কিরণ এবং জিনাতকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত ছিলাম। জিনাত যিনি আমিরের মা, একজন একেবারেই করুণাময়ী ও ব্যতিক্রমী মহিলা। ওঁর আমাদের বাড়িতে আসার বিষয়টা চমৎকার ছিল। ওঁদের সঙ্গ, আন্তরিক কথোপকথন এবং দিলীপ সাহেবের সঙ্গে স্মৃতির গলিতে হাঁটার মাধ্যমে নতুন বছরটা আনন্দের সঙ্গেই শুরু হয়েছে।’

সায়রা বানু আরও লিখেছেন, ‘একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া এই হাসি এবং লালিত মুহূর্তগুলি সত্যিই দুর্দান্ত৷ সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি, ভাগ করে নেওয়া হাসি এবং কিছু বন্ধন অপরিবর্তিত থাকবে। তা ক্যালেন্ডার যতই ঘুরে দাঁড়াক না কেন।’