নতুন বছরের দিন যত এগোচ্ছে, ততই যেন ফিকে হচ্ছে শাহরুখ ম্যাজিক। ২০২৩ ছিল শাহরুখ খানের। পাঠান আর জওয়ান ব্যবসা করেছিল ১০০০ কোটির। তবে তেমনটা হল না আর বছর শেষে। রাজকুমার হিরানির সঙ্গে শাহরুখের সঙ্গত সেভাবে করতে পারল না কার্যসিদ্ধি। সঙ্গে বলিউডকে হার মানতে হল দক্ষিণের সিনেমার কাছে।
গত কয়েকবছর ধরেই ভারতজুড়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছে দক্ষিণের সিনেমা। বাহুবলী, কেজিএফ, আরআরআর-এর মতো ছবি টেনেছে সব ভাষার দর্শকদের। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ব্যবসা করেছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, আরবের মতো দেশগুলিতে। আর ঠিক তেমনটাই হল প্রভাসের সালার-এর ক্ষেত্রেও। দক্ষিণের বিশাল বাজেটে বানানো ঝাঁ চকচকে সেট, লার্জার দেন লাইফ গল্প, অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবারেও বাজারে হিট হয়ে গেল। রাজকুমার হিরানির অভিবাসন সমস্যাকে নিয়ে তৈরি সিনেমা সেভাবে ছাপই ফেলতে পারল না দর্শক মনে। Sacnilk.com-এর রিপোর্ট অনুসারে, মঙ্গলবারে ভারতে ডাঙ্কির আয় ১.৩০ কোটি। অন্য দিকে, সালার ব্যবসা করেছে ২.৩০ কোটির।
সালার বক্স অফিস রিপোর্ট:
তবে সালারের সাফল্য ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি বাহুবলী কিংবা কেজিএফের। প্রশান্ত নীল, যিনি কেজিএফের দুটি পার্ট বানিয়েছেন, তিনিই পরিচালনা করেন সালারের। কিন্তু এবারে দর্শকদের কাছ থেকে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও প্রভাসের ঝুলিতে এনে দিয়েছে সাফল্য। যা বাহুবলী ২-এর পর থেকে আর আসেনি তাঁর কাছে। মাঝে মুক্তি পাওয়া আদিপুরুষ ছিল সুপার ফ্লপ।
সালার খাতা খুলেছিল ৯০ কোটি দিয়ে। তবে যত দিন গিয়েছে ব্যবসার অঙ্ক ধীরে ধীরে কমেছে। ১৯ দিনে এই সিনেমা ভারতের বাজার থেকে মোট পাঁচটি ভাষায় ঘরে তুলেছে ৩৯৭.৮০ কোটি।
ডাঙ্কি বক্স অফিস রিপোর্ট:
সালারের একদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল ডাঙ্কি। ২৯.২ কোটি দিয়ে পথচলা শুরু। প্রথম সপ্তাহে রাজকুমার হিরানির এই সিনেমার আয় ছিল ১৬০.২২ কোটি। এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে তা নেমে আসে ৪৬ কোটিতে। আপাতত ২০ দিনে এই ছবি ব্যবসা করল ২১৯.২৭ কোটির।
থ্রি ইডিয়টস আর মুন্নাভাই এমবিবিএসের অফার ফিরিয়েছিলেন শাহরুখ। দুটো সিনেমাই ছিল অলটাইম ব্লকবাস্টার। তবে শেষমেশ ডাঙ্কি দিয়ে জুটি বাঁধেন কিং খান আর রাজু হিরানি। পঞ্জাবের তরুণ প্রজন্মের ডাঙ্কি রুট দিয়ে বিদেশ যাত্রাকেই ফোকাস করা হয়েছে এই সিনেমায়। ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছু পা হন না কিছু মানুষ। এমনকী, বিদেশ পাঠানো নিয়ে দেশের কিছু রাজ্যে এখনও চলে ব্যবসা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের অন্য কোনও দেশে গিয়ে সামান্য কাজ করেও যে মোটা অঙ্কের টাকা আয় হয়, তা দিয়ে দেশে থাকা পরিবারকে দেওয়া সম্ভব হয় স্বাচ্ছন্দ্য।