পরিচালক আলি আব্বাস জাফরের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে বহুদিনের সম্পর্ক সলমনের। 'সুলতান', ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’, ‘ভারত’ সহ সিনেমাপ্রেমীদের বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন আলি আব্বাস জাফর ও সলমন জুটি। এদিকে এবার ইদে সলমন নয় অক্ষয় কুমার-টাইগার শ্রফের সঙ্গে জুটি বেঁধে 'বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ' নিয়ে হাজির হয়েছেন পরিচালক আলি আব্বাস জাফর।
সাধারণত ইদে বলি পাড়া থেকে 'ভাইজান' সলমনের ছবিই মুক্তি পায়। তবে এবার ইদে ছবি মুক্তি দেওয়ার জন্য নাকি বন্ধু সল্লুর কাছে অনুমতি চেয়ে নিয়েছিলেন আক্কি। সেবিষয়েই সম্প্রতি মুখ খুলেছেন আলি আব্বাস জাফর। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
আলি আব্বাস জাফরের কথায়, ‘সলমন খান নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি, তাই ওঁর থেকে অনুমতি চাইলে কেউ ছোট হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি না। বিশেষকরে যদি সলমনের কথাই হয়, তাহলে বলতে হয় উনি আমাদের কাছে অনেক সিনিয়র। তাই আমি আর অক্ষয় স্যার ওঁকে ডেকে কথা বলি। জিগ্গেস করেছিলেন উনি যদি এই ইদে কোনও ছবি আনার পরিকল্পনা করেন তাহলে আমরা আমাদের ইদে ছবি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করব। সলমন বলেন, এই ইদে তাঁর কোনও পরিকল্পনা নেই, তাই আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতো এগোতে পারি। তবে সলমন স্যার বলে ছিলেন, এটার জন্য ওঁকে জিগ্গেস করার প্রয়োজন নেই। আসলে এটাই হলেন সলমন। তিনি ইদে ছবি মুক্তিকে নিজের একার অধিকার বলে মনে করেন না। তবু আমি ওঁকে জিগ্গেস করতে চেয়েছিলাম। আর তাই যখন ট্রেলার মুক্তি পেল, তখন অনেকটাই নিরাপদ মনে হয়েছিল।'
আরও পড়ুন-নববর্ষের সকলে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন গৌরব, দেবলীনা কাটালেন নাচের স্কুলে
তবে কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার সলমনের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়িয়েছেন আলি আব্বাস জাফর। সম্প্রতি সেবিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। পরিচালকের কথায়, ‘সলমনের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার মত বিরোধ হয়েছে। ঝামেলা হয়েছে। তবে তার জন্য আমার সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক খারাপ হয়নি। আজ আমি যা কিছু হয়েছি, সেটা সলমন খানের জন্যই। আমার কেরিয়ারে ওঁর অবদান অসাধারণ। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার আর ওঁর মধ্যে দারুণ একটা বোঝাপড়া রয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমরা সবাই দারুণ সুখী, আমাদের মধ্যেও ঝগড়া হয়, মতবিরোধ হয়। তবে যাইহোক, ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ১০০ শতাংশ হৃদয় দিয়ে তৈরি। উনি জানেন আমি আবেগপ্রবণ। আমিও অনুভব করি যে উনি একজন সুন্দর মানুষ'।
সলমনের চরিত্রের একটা মজার দিক বলতে গিয়ে আলি আব্বাস জাফর বলেন, ৫০-এর বেশি বয়স হয়ে গেলেও পরিচালক যখনই প্যাক আপ ঘোষণা করেন তখন সলমন একজন স্কুলে পড়া শিশুর মতো আচরণ করেন। অনেকসময় কাজ করতে করতে সলমনও ক্লান্ত বোধ করেন, তবে শেষপর্যন্ত তিনি আবারও পুরো এনার্জি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। আমি প্যাকআপ বলার সঙ্গে সঙ্গেই সলমনের ভাবখানা এমন যেন এবার পার্টি করা যাক। উনি শিশুর মতো সব ভুলে যান। এমন করেন যেন স্কুল শেষ হয়ে গেছে এবার মজা করা যেতে পারে।'