সঞ্জয় লীলা বানশালি এবং নির্মাতারা বুধবার নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া সিরিজ হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজারের জন্য একটি গ্র্যান্ড স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিলেন। হাজির ছিলেন সলমন খানও। অনেকেরই ধারণা ছিল, সলমনের সঙ্গে নাকি আজকাল একেবারে বনিবনা নেই বনশালির। তবে তা মিথ্যে প্রমাণিত হল ভাইজানের এদিনের উপস্থিতিতে।
তবে সলমন আলোচনায় তাঁর পোশাকের জন্য। দেখা গেল কালো শার্ট পরে আছেন তিনি। সঙ্গে রঙিন ড্রাগন বল জেড প্রিন্টেড প্যান্ট। একদম কোয়ার্কি লুক ভাইজানের। যা তাঁর ক্ষেত্রে দেখা যায় না বললেই চলে।
প্যান্টিতে একাধিক রঙের অ্যানিমে চরিত্রগুলি চোখে পড়ছে। প্যান্টগুলি ড্রাগন বল জেড-এর গোকু এবং ডেমন স্লেয়ারের নেজুকো কামাডোকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে প্রিন্টে।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ৪ টি ফ্ল্যাট, ৩টে দামি গাড়ি, কত কোটির মালিক ‘বার্থ ডে বয়’ অরিজিৎ সিং?
হীরামন্ডি স্ক্রিনিং থেকে সলমনের এই গেটআপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটা সলমন! আমি তো নিজের চোখকেই ভরসা করতে পারছি না’। আরেকজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ, চমৎকার স্টাইল’। অন্যজন মন্তব্য করেছেন, ‘ইনি সলমন খান নাকি রণবীর সিং?’
একজন ব্যক্তি আবার লিখেছেন, ‘সলমন খান অ্যানিমে ফ্যান?’ আরেক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, 'সুপার কুল প্যান্ট'।
আরও পড়ুন: এ কী হাল! টিআরপিতে যৌথ টপার পেল জি বাংলা! ফুলকি-জগদ্ধাত্রী-নিম ফুলের মধু, কে কোথায়
এমন নয় এই প্রথম সলমনের প্যান্ট এল খবরে। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুম্বই বিমানবন্দরে সলমনকে দেখা গিয়েছিল এমন একটি প্যান্টে, যার পিছন দিকে আঁকা ছিল একটি মুখ। রঙিন জ্যাকেট এবং বেগুনি টি-শার্ট দিয়ে তার চেহারাটি সম্পূর্ণ করেছিলেন। মাথায় টুপি আর কাঁধে একটি ডাফল ব্যাগ ঝুলিয়ে দেখা গিয়েছিল ভাইজানকে।
কাজের সূত্রে, সলমনকে সর্বশেষ ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে টাইগার থ্রি ছবিতে দেখা গিয়েছিল। আগামীতে সিকান্দরে অভিনয় করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘জীবন একটাই…’, আটকে ৭ লাখের খোরপোশ মামলা, একাধিক বিয়ে নিয়ে জবাব শ্রাবন্তীর
এদিকে ১৪ এপ্রিল গুলি চলে সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। সিসিটিভি ফুটেজে ভোর-ভোর দুই শ্যুটারকে দেখা যায় প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালাতে। এরপর ১৬ এপ্রিল মুম্বই এবং কচ্ছ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গুজরাটের ভুজ শহরের কাছে মাতা নো মাধের একটি মন্দিরের প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। যারা আপাতত রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। জেরায় দুই অভিযুক্ত জানিয়েছে, সলমনকে প্রাণে মারতে নয়, ভয় দেখাতে গিয়েছিল তাঁরা। এমনকী, পানভেলের ফার্ম হাউজেও রেইকি চালিয়েছিল। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অমোল বিষ্ণোই।