সুপ্রিম কোর্টে চলা সমলিঙ্গে বিয়ে শুনানিতে নজর রয়েছে গোটা দেশের। দেশের বিভিন্ন মানুষের পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে চলা শুশানিতে চোখ রেখেছিলেন লেখক অপূর্ব আশরানি এবং তার সঙ্গী কাদম্বুর নীরজ। এবিষয়ে নিজেদের ভাবনা টুইটারে শেয়ার করেছেন অপূর্ব ও কাদম্বুর।
অপূর্ব লিখেছেন, ‘দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক যাঁরা ভোট দেন, আয়কর দেন, একে অপরের সম্মতিতে তাঁরা একসঙ্গে থাকছেন। তাঁরা দেখছেন, তাঁদের একসঙ্গে জীবন কাটানোর অধিকার আছে কিনা, সেটা নিয়ে গোটা দেশে বিতর্ক হচ্ছে।’ পোস্টের সঙ্গে অপূর্ব তাঁর এবং কাদম্বুরের একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে তাঁরা খাবার টেবিলে বসে রয়েছেন, এবং ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে অন্য কোথাও দেখছেন।
'ভাই'-এর কাছেই প্রতারিত! রণিত রায়ের পোস্টে উদ্বিগ্ন স্মৃতি ইরানি, কী ঘটেছে?
যদি ব্যর্থ হন, তাহলে লোকজন আরও বেশি লাথি মারবে, সেখান থেকেই নিজেকে তুলতে হবে: প্রিয়াঙ্কা
অপূর্ব এই পোস্টের সঙ্গেই এক নেট নাগরিক লেখেন, ‘প্রেম করার এবং একসঙ্গে জীবন কাটানোর অনুমতি? এরপর কী?’ তাঁর কথার উত্তরে অপূর্ব জানান, ‘আমরা অনুমতি চাই না, অধিকার চাই।’ কেউ লিখেছেন, ‘তোমরা সুন্দর দম্পতির উদাহরণ তৈরি করো।’ কারোর কথায়, ‘আমার মনে হয় দু'জন প্রাপ্ত বয়স্কের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই, অন্যকিছু প্রয়োজন। আইন সমস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সকলের জন্য হওয়া প্রয়োজন। প্রার্থনা করি যেন এই আইন পাশ হয়।’
বুধবার, সুপ্রিম কোর্ট সম লিঙ্গে বিয়ের বৈধতা নিয়ে পুনরায় শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে একজন আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেছিলেন যে ‘রাজ্যের এগিয়ে আসা উচিত এবং সমলিঙ্গে বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।’
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে একাধিক আবেদনের শুনানি শুনতে রাজি হয়েছে। এই বেঞ্চে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল, এস রবীন্দ্র ভাট, পিএস নরসিংহ, হিমা কোহলি রয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যে কোনও ব্যক্তি তার ইচ্ছে মতো বিয়ে করতেই পারেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এর বিরোধিতা করেছে।