বরাবরই মন খুলে কথা বলতে পছন্দ করেন বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান। সিনেমা, চরিত্র, জীবন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনের কথা খোলামেলা ভাবে বলার জন্য পরিচিত অভিনেত্রী। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত নেটফ্লিক্স ফিল্ম ‘মার্ডার মুবারকে' দেখে গিয়েছে তাঁকে। আগামীতে পিরিয়ড ড্রামা ‘অ্যায় ওয়াতান মেয়ে ওয়াতান’-এ দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। সদ্য পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী হিসেবে দায়িত্ববোধ, মা অমৃতা সিং এবং ভাই ইব্রাহিম আলি খান সম্পর্কেও কথা বলেছেন তিনি।
তারকা নাকি অভিনেত্রী, কী হতে চান সারা, এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি এখন এটাকে আমার কর্তব্য হিসেবে দেখি। এসে পারফর্ম করা আমার দায়িত্ব। এরপর আমি তারকা হলে এটা ভাগ্য ও দর্শকের ভালোবাসা। আমাকে একজন অভিনেতা হিসেবে দেখলে এটা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। এটুকুই’। আরও পড়ুন: ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট, ভেন্টিলেশনে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুন্ধতী
সিনেমা এবং অভিনয়ের জন্য বৈধতা চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হল আমার মাকে গর্বিত করা। সামান্য কোনও অংশে আমার ভাইকে অনুপ্রেরণা যোগানো, বিশেষ করে আমি ওর দিদি হিসেবে। যেমন জারা হটকে জারা বাঁচকে দেখার পরই ও আমার দিকে তাকিয়ে বলে, দিদি আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত। বা হয়তো কখনও ও বলে ওঠে, এটা আমার দিদির গান’।
আরও জানিয়েছেন, ‘যখনই ছবির ট্রেলার বেরিয়েছে, আমি একা বসে ট্রেলার দেখেছি, এমন একটা ছবিতে নিজেকে দেখার পর নিজের উপর যে একটা আস্থা অনুভব করেছি এর আগে সেই আস্থা কখনও পাইনি। আমি সৎ বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। সিম্বা এবং কেদারনাথের পর দর্শকের কাছে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু মাঝে সেটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু সেই একই জিনিসের জন্য নিজেকে ক্ষুধার্ত মনে হয়। কিন্তু সেই যে বৈধতা পাইনি সেটা আবার ফিরে পাচ্ছি'।
২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ ছবির হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ করেছেন অভিনেত্রী সারা আলি খান। এরপর একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন সইফ-অমৃতা কন্যা। আগামীতে ‘অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান’ ছবিতে দেখা যাবে সারাকে। ‘অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান' একটি পিরিয়ড ড্রামা। কন্নন আইয়ার পরিচালিত ছবিতে সারা একজন স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা, ঊষা মেহতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই থ্রিলার ড্রামাটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। ছবিটি মুম্বইয়ের একজন সাহসী মেয়ের কাহিনী যিনি পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী।
ছবির মূল কাহিনি এক কলেজ ছাত্রীর। সে কলেজে পড়াকালীন কীভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে, সেটাই দেখানো হবে ছবিতে। কাহিনির প্রেক্ষাপট ১৯৪২ সাল, যখন গোটা গোটা দেশ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে উত্তাল। কাহিনির পরতে পরতে রয়েছে সাহস, দেশপ্রেম ও ত্যাগ। চিত্রনাট্য লিখেছেন দারাব ফারুকি এবং কান্নন আইয়ার। প্রযোজনার দায়িত্বে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন। আগামী ২১ মার্চ থেকে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োতে দর্শক দেখতে পাবে সিনেমাটি।