টলিউড থেকে দীর্ঘদিন গায়েব সায়ন্তিকা। কিন্তু ঢালিউডের একটি ছবিতে কাজ করেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিউডের পার্টির চেয়ে আজকাল রাজনীতির ময়দানেই বেশি দেখা যায় সায়ন্তিকাকে। সম্প্রতি ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে শ্যুটিং করতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্যুটিং অসমাপ্ত রেখে ফিরে আসেন নায়িকা। প্রযোজকের বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ আনেন। তাঁর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ ছিল ছবির কোরিওগ্রাফারের বিরুদ্ধে। সায়ন্তিকা কলকাতায় ফিরে জানিয়েছিলেন,‘গায়ে হাত দিয়ে নাচের স্টেপ বোঝানোর চেষ্টা করছিল মাইকেল।' আরও পড়ুন-‘হোটেল রুমে ৪ ঘণ্টা কী করছিল সায়ন্তিকা-জায়েদ?’ প্রযোজকের কটাক্ষের জবাব নায়কের
হোটেল রুমে জায়েদ খানে সঙ্গে ৪ ঘন্টা! পালটা জবাব সায়ন্তিকার
সেই নিয়ে দুই বাংলার সংবাদমাধ্যমে শোরগোল। গোটা ঘটনা নিয়ে পালটা সায়ন্তিকার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন প্রযোজক মণিরুল ইসলাম। অভিনেত্রী ও ছবির হিরো জায়েদ খানকে জড়িয়ে কুরুচিকর ইঙ্গিত করেন। এবার প্রযোজকের সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন সায়ন্তিকা। নায়কের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো প্রসঙ্গে নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবিত নই। কোনও সাফাই দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করি না কারণ আমি জানি সত্যিটা কী। আর নায়ক-নায়িকা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও বসে থাকে, সমস্যা কোথায়?’
প্রযোজকের অভিযোগ
দিন চারেক আগে প্রযোজক মণিরুল ইসলাম তোপ দেগে বলেছেন-‘নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর ডিরেকশনে গানের শ্যুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। পরে আর দিনের আলো না থাকায় ওইদিন শ্যুট করা হয়নি। ড্রেস চেঞ্জ করতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে? এমনটা কখনো দেখিনি। এ ছাড়া যেদিন আমরা শ্যুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’
কোরিওগ্রাফারকে নিয়ে মন্তব্যের ভুল বাখ্যা হয়েছে: সায়ন্তিকা
অন্যদিকে ‘গায়ে হাত দিয়ে নাচের স্টেপ বোঝানো’ মন্তব্যের ভুল ব্যাখা হয়েছে বলেও জানান সায়ন্তিকা। তাঁর দাবি, ‘অকারণে কেন একজন শিল্পীর নামে মিথ্যা বলতে যাব? ও খুব আগ্রহ নিয়ে নিজের কাজ করার চেষ্টা করছিল। হয়ত কথা বলতে বলতেই না বুঝে আমার হাত ধরে নাচের পজিশন বুঝিয়েছে, কাজটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ওঁর আশেপাশের মানুষই এ ধরনের খারাপ কথা রটাচ্ছে।’
কাজ আটকে থাকুক এমনটা চান না সায়ন্তিকা। পেশাদার মনোভাব নিয়ে কাজ শেষ করতে চাইলে ‘ছায়াবাজ’এর বাকি শ্যুটিং শেষ করতে অসুবিধা নেই তাঁর, স্পষ্ট জানিয়েছেন সায়ন্তিকা। তবে পেশাদায়িত্বের সঙ্গে আপোস করতে রাজি নন তিনি।