এক নজর তাঁকে দেখলে যে কেউ ভেবে বসতে পারেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। তাঁকে দেখে যে কেউ রীতিমতো ভ্য়াবাচাকা খেতে পারেন। তিনি আর কেউ নয়, শাহরুখ খানের ডপেলগ্যাঞ্জার। নাম সুরজ কুমার। তাঁকে যেন হুবহু দেখতে নব্বইয়ের দশকের শাহরুখ খানের মতো।
বছর ২২-এর সুরজ কুমার বেশ কিছু ছবি দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে থেকে ভাইরাল হয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ইন্ডিয়া গেটের কাছে সেই ছবি তুলেছিলেন তিনি। এই বিষয় কথা বলতে গিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি প্রায়শই ইন্ডিয়া গেটের সামনে ভিডিয়ো শ্যুট করতে যাই। রিল বানানোর জন্য় এই জায়গাটাই বেছে নিই। রিলের জন্য এসআরকের ক্ষুব্ধ দৃশ্য এবং ডর ও বাজিগরের মতো সিনেমা থেকে তাঁর দৃশ্যগুলি করতে পছন্দ করি’।
আরও পড়ুন: যেন পরী! ডিপ নেক, পা চেরা গাউনে চোখ ধাঁধানো লুকে প্রিয়াঙ্কা
সুরজকে হুবহু শাহরুখের মতো দেখতে এমনটা নয়, তিনি শাহরুখ খানের খুব বড় ভক্তও। শাহরুখের নব্বইয়ের দশকের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘নতুনগুলির চেয়ে আমি তাঁর পুরানো কাজগুলি দেখতে পছন্দ করি -- বাজিগর, দিওয়ানা, ইয়েস বস, চমৎকার, রাজু বান গয়া জেন্টলম্য়ান এবং মায়া মেমসাব। তাঁর তখনের কাজগুলি অতুলনীয়। ওঁর বলার ধরন, চুল, নাচের স্টাইল, ওঁর তোতলানো, সেগুলি আপনি নতুন ছবিতে দেখতে পাবেন না। সেজন্য আমি নব্বইয়ের দশকের সংলাপ থেকেই ওঁকে বেশি অনুকরণ করি’।
সুরজ প্রকাশ করেছেন, এই মুহূর্তে তিনি যতটা ভালোবাসা এবং প্রশংসা পাচ্ছেন বিগত কয়েক বছর আগেও এমনটা ছিল না। তিনি যোগ করেছেন, জনসাধারণের মাঝে যখন তিনি শাহরুখের মতো আচরণ করতেন লোকে তাঁকে পাগল ভাবত। এমনকি দেখে হাসত। আরও যোগ করেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর আমার কাজের পরিচয় দিতে শুরু করে। এখন লোকেরা আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে। তারা বলে, আমাকে নব্বইয়ের দশকের শাহরুখ খানের মতো দেখতে। যেহেতু আমি তাঁর মতো একজন অভিনেতা হতে চাই, তাই অনেকেই আমাকে ওঁর মতো পেশী তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন’।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সুরজ। শাহরুখের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য এবং অভিনয়ের প্রতি তাঁর আবেগ অনুসরণ করার স্বপ্ন নিয়ে ছয় বছর আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে দিল্লিতে বসবাস করেন। এ বিষয় কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘বাড়ির কেউ আমাকে সাপোর্ট করেনি। তাই বাবার পকেট থেকে কিছু পয়সা চুরি করে আমি মুম্বই চলে আসি। শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করতে চাই, অভিনেতা হতে চাই’। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি প্রতিদিন মন্নতে গিয়েছি, তবে এখন পর্যন্ত একদিনও ওঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি, যদি কোনও দিনও শাহরুখের সঙ্গে আমার দেখা হয়, আমি তো কান্না জুড়ে দেব’।
কীভাবে এসবের শুরু হল? এ বিষয় বলতে গিয়ে সুরজ পুরনো স্মৃতি হাতড়ে বলেছেন, স্কুলের সহপাঠীরা এসআরকে-র সঙ্গে তাঁর অদ্ভুত মিল খুঁজে পেয়েছিল। এ ভাবেই সকলের কাছে তিনি আস্তে আস্তে পরিচিত পেতে শুরু করেন।