বছর চারেক আগে কাগজে-কলমে সই-সাবুদ করে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন টেলি জুটি দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়। যদিও তাঁদের সম্পর্কের বয়স ২৮ ছুঁয়েছে। ২৪ বছর সহবাস করার পর বিয়ে করেন দুজনে। বাইপাস লাগোয়া বহুতলের ১৯তলায় ফ্ল্যাট এই টেলি দম্পতির। ইন্ডাস্ট্রিতে এই জুটির প্রেম নিয়ে কমচর্চা হয়নি, গত আড়াই দশকে। সম্প্রতি ৮০ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করে হইচই ফেলে দিয়েছেন দোলন রায়।
বাস্তবে জুড়ে রয়েছেন তাঁরা, একই ইন্ডাস্ট্রির অংশ। অথচ স্ক্রিনে একসঙ্গে দেখা যায় না তাঁদের। কেন? সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য ফাঁস করেন দোলন রায়। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, স্টার জলসার আসন্ন মেগা ‘বঁধূয়া’য় শুরুতে অভিনয়ের কথা ছিল তাঁর। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেও দীপঙ্করের জন্য কাজ হারান তিনি!
দোলন বলেন, ‘আমাকে বঁধুয়ায় প্রধান একটা চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছিল। ওঁরা আমাকে বলল টিটোটা (দীপঙ্কর) কী কাজ করবে? সবারই একটা সুপ্ত ইচ্ছে থাকে ওর সঙ্গে কাজ করার। আমি বললাম, কথা বলে দেখো। কারণ ও তো নিজের শর্তে কাজ করে। ওরা কথা বলার পর, সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। চ্যানেল খুব উল্লসিত ও কাজটা করছে। পরদিন আমাকে ফোন করে বলছে দোলনদি তোমাকে না আমরা নিতে পারছি না’।
সিরিয়ালে দোলনকে নেওয়া হয়েছিল বাড়ির বড় বউমার চরিত্রে (খুব সম্ভবত রেজওয়ানের মা), অন্যদিকে দোলনের শ্বশুরমশাইয়ের ভূমিকায় কাস্ট করা হয় দীপঙ্করকে। স্বামীকে পর্দায় ‘বাবা’ বলে ডাকলে সিরিয়াল শুরুতেই ট্রোলের মুখে পড়বে, আশঙ্কা জন্মায় নির্মাতাদের মনে। তাই বাদ পড়েন দোলন। আক্ষেপ করে অভিনেত্রী বললেন, ‘ওরা বলল টিটোটা শ্বশুরের চরিত্র করবে, তুমি তো বড় বউমার রোল করতে। সারাক্ষণ তুমি স্ক্রিনে যদি বাবা বাবা করে ডাক, তাহলে প্রচণ্ড ট্রোল হবে। আমি তোমাদের এই সিরিয়ালে স্ক্রিন শেয়ার করাতে পারব না’। যদিও এটা আসলে দর্শকদের লোকসান, যোগ করেন দোলন।
বাবার বয়সী বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন বছর ২৪-এর দোলন। রবি ঘোষের নাটক দলে কাজের সূত্রে আলাপ দুজনের, সেখান থেকেই প্রেম। দোলনের সঙ্গে সঙ্গে দীপঙ্কর সম্পর্কে জড়ান, তখন অভিনেতার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ‘টিটোদা’র প্রেমে পড়ে সমালোচনার ভয়ে একটা সময় টেলিভিশনও ছেড়েছিলেন দোলন রায়। তবে সব কটূক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়েছে তাঁদের অসমবয়সী প্রেম। বিদ্রুপের তোয়াক্কা না করে একে অপরের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছেন তাঁরা। ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে দীপঙ্করের একটাই বার্তা, ‘কেয়ার করি না’।