রবিবার মধ্যরাতে বিয়ের খবর দিয়ে সকলকে চমকেই দিয়েছিলেন শ্রুতি দাস আর স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। একটি ওয়েডিং কেকের ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন ‘মিস থেকে মিসেস হলাম’। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাম বদলে শ্রুতি দাস সমাদ্দার করে ফেলেন তিনি। এরপর বেলার দিকে ছবি আসে বিয়ের। দেখা যায়, একেবারে হটকে সাজে আইনি বিয়েটা করেছেন। সাদা ঢাকাই জামদানি বেছে নিয়েছেন। যাতে রয়েছে সরু লাল রঙের পার। আর সাদা রঙের পঞ্জাবি ছিল স্বর্ণেন্দুরও। সোনার বদলে রুপোর গয়না পরে রেজিস্ট্রি করেন শ্রুতি।
বরাবরই হটকে হতে পছন্দ করেন। এবারেও অন্যথা হল না। শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দু রেজিস্ট্রির পর মালা বদল, সিঁদুর দান করলেও এখনই একসঙ্গে সংসার করছেন না। ফলে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই আলাদা থাকছেন। তাই আর পাঁচটা বিয়ের মতো কালরাত্রি বা ফুলশষ্যাটাও হয়নি। তবে হানিমুনটা মিস করতে চান না। শনিবার ভোর ভোর বেরিয়ে পড়লেন জুটিতে।
শ্রুতি জানিয়েছেন আলতা পায়েই তিনি ঢুকবেন সমাদ্দার বাড়ির বউ হয়ে। সামাজিক বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আপাতত সম্পর্ককে নাম দিয়ে রাখলেন।
শনিবার একটি রিল ভিডিয়ো শেয়ার করে নিলেন শ্রুতি সামাজিক মাধ্যমে। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘আমাদের মিনি হানিমুন’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিলেন #keepguessing। আসলে বিয়ের পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শ্রুতি বরাবারই বলে আসছেন হানিমুনের জায়গা খোলসা করতে চান না। চান সেটাও চমক হিসেবেই আসুক নেটমাধ্যমে থাকা তাঁর ভালোবাসার মানুষদের কাছে। শুধু এটা বলেছিলেন যে হানিমুন থুরি মিনি হানিমুনে তিনি প্রথমবার প্লেনে চড়বেন।
রাঙা বউ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সামাজিক বিয়ের পর বড় করে হবে হানিমুন। আর তখন গন্তব্য হবে বিদেশ। আপাতত দেশের মধ্যেই কোথাও একান্তে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে চান নব দম্পতি।
‘ত্রিনয়নী’ থেকে তাঁদের প্রেমের পথ চলা শুরু হয়। শ্রুতির কাছ থেকেই প্রথম প্রেম প্রস্তাব গিয়েছিল স্বর্ণেন্দুর কাছে। প্রথমটা একেবারেই রাজি ছিলেন না পরিচালক। শ্রুতিকে খুব একটা পছন্দও করতেন না। শুধু নিজের পরিচালকের মন জিতে প্রেমিকাই হননি, এখন তাঁর পরিচয় মিসেস স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। যা নিসন্দেহে এক বড় অনুভূতি। একসময়ে দুজনের বয়সের ফারাক, শ্রুতির গায়ের রং নিয় কম কটাক্ষ হয়নি। অনলাইনে অনেকে ট্রোল করে দাবি করেছিলেন, কাজ পাওয়ার জন্য ‘বুড়ো পরিচালক’-এর সঙ্গে ‘প্রেমের নাটক’ করছেন শ্রুতি। তবে সবাইকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে বিয়ের ছবিগুলো।