কর্মসূত্রে এখন তিনি কলকাতায় থাকেন। কিন্তু লিলুয়াতেই জন্ম আর বেড়ে ওঠা ইমনের। নিজের এলাকার বেহাল পরিস্থিতি দেখে চুপ থাকতে পারলেন না জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা। লিলুয়ার এই ভূমিকন্যা বরাবরই স্পষ্টবক্তা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রোলারদের দু-চার কথা শুনিয়ে দেন। এবার তাঁর নিশানায় বালি পৌরসভা এবং বালির বিধায়ক।
রবিবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ইমন। জানান, তাঁর লিলুয়ার বাড়ির সামনে একটি অটোস্ট্যান্ড রয়েছে। সেটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ১০০ বার বলেও লাভ হয়নি। তিনি লেখেন, ‘যারা দায়িত্ব নিয়েছেন অথচ পালন করছেন না, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত!! ছি!’
এরপর ইমনের সংযোজন, ‘বালি পৌরসভার লজ্জা এটা। লিলুয়াতে যারা এই রাস্তায় দিয়ে যাতায়াত করেন, দয়া করে শেয়ার করুন। যাতে খবরটা ছড়ায়, যদিও আদেও কোনও লাভ হবে কিনা জানি না। ছি ছি ছি!’ নিজের কথার স্বপক্ষে ছবি এবং ভিডিয়োও শেয়ার করেন ইমন। সত্যি সেই অটোস্ট্যান্ডের দশা দেখলে শিউরে উঠতে হবে। গোটা এলাকা জঞ্জালে ভর্তি। দুর্গন্ধে ওই এলাকায় টেকা যাচ্ছে না, বলে মত স্থানীয়দের। ডেঙ্গির উদ্বেগ যখন গোটা রাজ্যে থাবা বসিয়েছে, তখন এই ছবি রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
ইমন এখন নীলাঞ্জনের সঙ্গে কলকাতায় সংসার পেতেছেন। তবে তাঁর বাবা এখনও লিলুয়াতেই থাকেন। সেইসূত্রে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে গায়িকার। গোটা বিষয় নিয়ে বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি আক্ষেপ ইমনের। কিন্তু বিধায়ক কী বলছেন? উল্টো সুর তাঁর গলায়। তিনি বলেন, ইমন তাঁর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন। গায়িকা থাকেন ডোমজুর বিধানসভায়। রানা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কিন্তু তাও যদিও কোনও সমস্যা হয়, ওঁর সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তিনি আমাকে ছবি এবং জায়গার জিপিএস পাঠিয়ে দিন। অবশ্যই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।’
রানা চট্টোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না হওয়ায় ইমন এই ব্যাপারে মদন মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গায়িকা বেহাল পরিস্থিতির ভিডিয়ো প্রমাণ দিয়ে লেখেন- ‘বালি পৌরসভার লজ্জা বলে শব্দটা আসুক জীবন’। ইমনের এই পোস্টেও ট্রোলারা আক্রমণ করতে ছাড়েননি। একজন লেখেন, ‘আবার সেই বিধায়কদের ডাকেই তো গান গাইতে যাবেন’। পালটা ইমন স্পষ্ট জানান, ‘সব বিষয়ে গান কেন টেনে আনেন বলুন তো?’
ইমনের পোস্টে অনেকেই নিজেদের এলাকার বেহাল পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, ‘জায়গাটা কে ভাগাড়ে পরিণত করলো কে? অঞ্চলের লোকজনই করেছে’। আবার অনেকের মতে বাড়ির ময়লা ফেলার বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব প্রসাশনেরই।