বহু পুরনো বন্ধু, যাঁদের সঙ্গে হয়ত বহুদিন দেখা সাক্ষাৎ নেই, তবু যোগাযোগটা থেকে গিয়েছে, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নানান ভালো-মন্দের মধ্যেও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর এবার পুরনো বান্ধবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নতুন প্রোফাইল খুলে ফেললেন গায়ক শিলাজিৎ। যার নাম রেখেছেন, ‘শিলাজিৎ বালিকা বিদ্যালয়’। আর নিজেই জানিয়েছেন সেকথা।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকের পাতায় শিলাজিৎ লিখেছেন, ‘আমার বান্ধবীদের জন্য যে প্রোফাইলটা ছিল সেটা হ্যাকড হয়ে গিয়েছে বহুদিন। বান্ধবীরা সব গেছে হারিয়ে।পুরনো বান্ধবীরা অনেকে ভেবেছে আমি তাদের unfriend বা ব্লক করে দিয়েছি বোধহয়। তাই এই প্রোফাইলটা খুললাম। যদি তারা খুঁজে পায় আমাকে, তাহলে আমিও তাদের আবার হয়তো খুঁজে পাবো।’
পরে লিখেছেন, ‘শিলাজিৎ বালিকা বিদ্যালয় এর ফচকেমোটা যারা নিতে পারবে তারা ছাত্রী হিসেবে admission নিতেই পারে এ বিদ্যালয়ে। আপেক্ষায় রইলাম। শুভ সন্ধ্যা।’ তবে সবথেকে নজর কেড়েছে বিদ্যালয়ের ক্যাপশন। সেখানে লেখা, ‘হয় ঝেলতে হবে নয়তো ফেলতে হবে!’
শিলাজিতের এমন পোস্টে বেশ উৎসাহী তাঁর অনুরাগীরা। তাঁর এই পোস্টের নিচে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। শিলাজিৎ-এর কথাতেই স্পষ্ট তাঁর এই বিদ্যালয়ে প্রবেশ অবাধ, গায়কের বহু অনুরাগী ওই গ্রুপে যোগ দিয়েছেন। বেশ বোঝা যাচ্ছে, অনেকেই ‘শিলাজিৎ বালিকা বিদ্যালয়'-এ অ্যাডমিশনের জন্য লাইন দিয়েছেন।
যদিও আবার শুধু বান্ধবীদের জন্য এই প্রোফাইল খোলায় মন খারাপ গায়কের পুরুষ অনুরাগীদের। কেউ তাই কমেন্টে লিখেছেন, ‘দাদা তোমার কাছে বান্ধবীরাই সব! আমরা ছেলেরা কেউ নই!’ কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘শিলাদা বালকদের জন্য কিছু হবে না? মাতাল সংঘ, এমন কিছু নাম দিয়ে!’ আবার অনেক পুরুষ অনুরাগী লিখেছেন, ‘আমরা বাদ!’
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর আরামবাগে শিলাজিৎ-এর শো ঘিরে তাঁর অনুরাগীদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। শো করে ফেরার পথে এক অনুরাগী কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন। চলন্ত গাড়ির বাইরে থেকেই গায়কের হাত চেপে ধরে বলেন, ‘আমার আয়ু নিয়ে তুমি বেঁচে থাকো দাদা’। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো।