মডেল, অভিনেত্রী থেকে একসময় রাজনীতিতে পা রাখা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন স্মৃতি ইরানি। তবে টেলিভিশনের দর্শকদের একাংশ এখনও স্মৃতিকে 'তুলসী ভিরানি' হিসাবেই চেনেন। 'কিঁউ কি শাস ভি কভি বহু থি'-র হাত ধরেই দর্শক দরবারে পরিচিতি তৈরি করেছিলেন স্মৃতি। আর সেই স্মৃতিই এখন অভিনেত্রীর খোলস ছেড়ে বের হয়ে শুধুই রাজনীতিবিদ।
তবে শুধু ছোটপর্দা নয়, স্মৃতির কাছে বড়পর্দাতেও কাজের সুযোগ এসেছিল। আমির খানের সঙ্গে 'দিল চাহতা হ্যায়' ছবিতে কাজের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন স্মৃতি। তবে তাতে সোজাসুজি 'না' বলে দেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন স্মৃতি ইরানি।
স্মৃতির কথায়, ‘আমি ছেড়ে দেওয়া সিনেমাগুলির মধ্যে একটা হল দিল চাহতা হ্যায়। যেটার অডিশনের প্রস্তাবে আমি ’না' বলে দিয়েছিলাম। ওঁরা বলেছিল তুমি কি পাগল? এটা দিল চাহতা হ্যায়। আমি স্পষ্ট জানালান, না আমি চাই না। কারণ আমি জানতাম আমি তখন সন্তানের মা হতে চাই।'
স্মৃতি ফের বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, সেই চরিত্রটি নিশ্চিতভাবেই প্রীতি জিন্টার চরিত্র ছিল না। ওটা ছবির অন্যকোনও গুরুত্বপূর্ণ মহিলার চরিত্র ছিল। তবে আমি অডিশন দিইনি। আর কেনই বা দেব! এমন কিছুর জন্য অডিশন কেন দেব, যে চরিত্রটা আমি করব না! আমি নিজের কেরিয়ারের বিষয়ে খুবই পরিষ্কার ছিলাম। জানতাম যে আমি পেশাদার জগতে ঠিক কী করতে চলেছি! কোন পথে এগোচ্ছি! আর সেই কারণেই এই বিষয়গুলি থেকে দূরে চলে যাওয়ার জন্য আমার নও অনুশোচনা নেই।'
স্মৃতির কথায়, ‘যখন আমি অভিনেত্রী ছিলেন, তখনও আমি কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে যাইনি, কোনও দোকান বা শোরুমের উদ্বোধনেও কখনও যাইনি। ওতে হয়ত অনেক টাকা ছিল। আমার সহকর্মীরাই এইসব থেকে অনেক টাকা রোজগার করেছেন। তবে বরাবরই আমার পেশাদার জীবন নিয়ে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। আমার পারিবারিক দায়িত্বও ছিল। আমি কখনওই চাইনি, আমার পেশাদার জীবনে কখনও আমার সহকর্মীরা আমাকে নিয়ে বিব্রত হোক, রাজনীতিতেও আমি তা চাইনি। কখনওই চাই আমাকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা আমাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ুক। আমি নিজের জীবনকে মর্যাদার সঙ্গে পরিচালনা করতে চেয়েছি বরাবর। এমনকি কিউ কি-তে অভিনয় করার তিন মাসের মাথাতেও আমার কাছে সিনেমার প্রস্তাব এসেছিল। তখনও আমি সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি জানতাম, আমি গাছের চারপাশে দৌড়ে বেড়ানো নায়িকা হতে পারব না। আমি নিজের বিষয়ে ভীষণ স্পষ্ট ছিলাম। ’