শুরু থেকেই লাইমলাইটে রয়েছে ‘দাদাগিরি’ সিজন-১০। এবার শোয়ে তারকাদের প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে অল্প বিস্তর বিতর্ক থাকলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে এই শোয়ের জনপ্রিয়তাই বেশি। ব্যস্ততা যতই থাক, শনি ও রবিবার রাত ৯.৩০টা বাজলেই টিভির সামনে বসে পড়েন সৌরভ অনুরাগীরা।
এবার দাদার মঞ্চে হাজির নানান বয়সের প্রতিযোগিতারা। তারই মাঝে সৌরভকে চিকেন কারি-র লোভ দেখালেন এক মহিলা প্রতিযোগী। তিনি 'দাদা' সৌরভের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি শুনেছি, আপনি খেতে খুূব ভালোবাসেন। আসলে আমার শাশুড়িমা খুব ভালো রান্না করেন। বিয়ের পর কিছু রান্না আমার ওনার থেকেই শেখা।’ সৌরভও তখন ওই মহিলার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তুমি ভালো রান্না করো?’ উত্তরে এক গাল হাসি নিয়ে ওই মহিলা বলেন, ‘চেষ্টা করি। চিকেনের নানা রকম পদ, রেসিপি দিয়ে চেষ্টা করি। আমার শ্বশুরবাড়ি এমনকি বাপের বাড়ির লোকও খুব সারপ্রাইজড আমার হাতে চিকেন কারি খেয়ে।’
সৌরভ তখন বলেন, ‘তার মানে তোমার হাতের চিকেন কারি খুব স্পেশাল!' উত্তরে ফের হাসিমুখে ওই মহিলা বলেন, ‘একদম দাদা’। আর তখনই সৌরভ নিজের পছন্দের কথা ফাঁস করেন। বলেন, ‘চিকেন আমার খুব প্রিয়। কারণ আমি তো ভাত-রুটি খাই না। তাই চিকেন আমায় খেতেই হয়।’
আরও পড়ুন-উপচে পড়ছে ভিড়! জন্মদিনে 'শিবশক্তি'র বাইরে বের হয়ে অনুরাগীদের জন্য একী করলেন অজয়!
আরও পড়ুন-আবিরের সঙ্গে গোপনে প্রেমের 'আলাপ' চলছে মিমির! সবকিছু প্রকাশ্যে আসবে এই বিশেষ দিনে…
এদিকে আবার এই একই পর্বে সৌরভের দরবারে হাজির ছিলেন ৭৬ বছরের এক প্রৌঢ়া। নাম প্রতিমা পাল। সেই প্রতিমা পাল নামে বর্ষীয়ান মহিলার কথা শুনে তাজ্জব হয়ে যান মহারাজ। সৌরভকে তাঁকে বলেন, চার ছেলেমেয়ে থাকা সত্ত্বেও একাই জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন! একথা শুনে হতবাক দাদা। তখন প্রতিমা দেবী বলেন, ‘আমার চারটে ছেলেমেয়ে আছে। আমি এখানে একা থাকি’। সৌরভ জানতে চান, ‘আপনি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যান না কেন?’ উলটো দিক থেকে জবাব আসে, ‘আমি নিজেদের মনে করি বেনারসি শাড়ি,বেশি ব্যবহার করলে রঙ চটে যাবে’। যদিও প্রতিমা দেবীর দাবির সঙ্গে সহমত নন দাদা সৌরভ। কারণ, তিনিও যৌথ পরিবারের আদর্শেই বড় হয়েছেন। তাই সোজাসুজি বলেন, ‘যখন পরিবার হয়, সকলকে নিয়েই হয়। ওসব ভাববেন না।’