১৫ ডিসেম্বর, শুভ সন্ধ্যায় সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন সৌরভ-দর্শনা। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন টলিপাড়ার বহু তারকা। সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল টেলিভিশনের এক চর্চিত তারকাকে। আর ইনি আর কেউ নন, টেলিভিশনের 'রামপ্রসাদ', অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
এই নামটা শুনে অনেকের মনেই সেই এক প্রশ্ন, উনি (সব্যসাচী) এসেছিলেন? উত্তরটা অবশ্যই ‘হ্য়াঁ, তিনি এসেছিলেন’। সব্যসাচী এসেছিলেন ঠিকই, তবে অনেকটা পড়ে, তখন ইতিমধ্যেই সৌরভ-দর্শনার বিয়ে, মালাবদল, সিঁদুরদান, সহ সব অনুষ্ঠানই সম্পন্ন হয়েছে। হ্য়াঁ, সব্যসাচী যখন এলেন, তখন বিয়ের সব রীতিনীতিই শেষ হয়ে গিয়েছে। ভীষণ কাছের বন্ধু, সৌরভের বিয়েতে সব্যসাচী এসেছিলেন প্রায় রাত ১০টার পরে।
আরও পড়ুন-আমি তো ‘সুন্দরী মাছওয়ালি’, বেশ কিছু দিন মাছবাজারের ওই গন্ধ শুঁকেছি: ঐন্দ্রিলা
আরও পড়ুন-‘আমি আছি, তুই বিয়েটা আগে সেরে নে’, 'দাদা'কে দেখে উঠতেই সৌরভকে বাধা, আরেক সৌরভের
পরনে ছিমছাম নীল রঙের পাঞ্জাবি পরে সৌরভ-দর্শনার বিয়েতে এসেছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। সৌরভ-দর্শনার পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তুললেন। 'সব্য'কে দেখে এগিয়ে এলেন তাঁর আরও এক বন্ধু তৃণা সাহা। হাত মেলালেন, পরিশীলিত দূরত্ব বজায় রেখে একে অপরকে জড়িয়েও ধরলেন। সেই মুহূর্ত উঠে এসেছে ক্যামেরায়।
বিয়ে বাড়িতে এলেও এদিন ভিড় থেকে দূরে দূরেই ছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এত দেরিতে? এই প্রশ্ন করতেই বললেন, সব্যসাচী জানালেন তিনি শ্যুটিং সেরে এসেছেন। তাছড়া, তিনি বিশেষ কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যানও না আজকাল। তবে সৌরভ তাঁর ভীষণই কাছের বন্ধু, তাঁরা দুজনে মিলে একটা রেস্তোরাঁর ব্যবসাও করেন। শুধু তাই নয়, সব্যসাচীর কাছের মানুষ ঐন্দ্রিলার শেষ জীবনযুদ্ধ, মৃত্যুর সময়টাতেও সব্যসাচীর পাশে সবসময়ের জন্য যিনি ছিলেন তিনি অভিনেতা বন্ধু সৌরভ দাস। সেসময় মিডিয়ার চাপ সামলানো থেকে সবকিছুই সামাল দিয়েছেন সৌরভ। জীবনের কঠিন সময়ে সব্যসাচীকে আগলে রেখেছিলেন একমাত্র সৌরভই। তাই, সৌরভের বিয়েতে সব্যসাচী আসবেন না তাও কি হয়!
এদিকে সবকিছু এভাবে শেষ না হলে, চলতি বছরের মার্চে ঐন্দ্রিলা শর্মার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়ার কথা ছিল সব্যসাচী চৌধুরীর। তবে তাঁদের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে চির জীবনের জন্য। তবে বিপদের বন্ধুর নতুন জীবন শুরুর দিনে সব্যসাচী এলেন, সৌরভের পাশে থাকলেন।