প্রয়াত বাংলার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। বছরের শুরুতেই এমন খবরে মন খারাপ বিনোদন দুনিয়ার শিল্পীদের। দীর্ঘ ৩ বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন অভিনেত্রী। শেষপর্যন্ত তাঁকে হার মানতেই হল। শুক্রবার না ফেরার দেশে পাড়ি দেন শ্রীলা। এদিনই কেওড়াতলা মহাশ্মশান শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বাচিক শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেই।
দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করলেও অনেকেই প্রয়াত অভিনেত্রীর এই অসুস্থতার কথা জানতেন না। কিন্তু কেন? সেবিষয়েই নিউ ১৮ বাংলাকে শ্রীলা মজুমদারের স্বামী জানান, কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, শ্রীলার শেষ কয়েকটা দিনের কথা।
প্রয়াত অভিনেত্রীর স্বামী এদিন বলেন, ‘এটা এক্কেবারেই শ্রীলার সিদ্ধান্ত। ও চায়নি নিজের অসুস্থতার কথা কাউকে বলতে। ৩ বছর ৩ মাস ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিল ও। তবে এর আগেও ও অনেকবার এই লড়াই জিতেছে, ক্যানসারকে হারিয়েছে। তবে এবার আর হল না। তবে এবারও ওঁর বিশ্বাস ছিল ও ক্যানসারকে হারাবে, জিতবেই। তবে আমরা জানতাম যে…। শেষ কয়েকটা দিন হাসপাতালে শুয়েই ইউরোপ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ও। ও চেয়েছিল আমরা দুজন আমাদের ছেলেকে নিয়ে ইউরোপ যাব।’
এদিকে অসামান্য অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও শ্রীলা মজুমদারের প্রতিভাকে সেভাবে উদযাপন করা হয়নি বলে মনে করছেন বহু শিল্পী। অনেকেরই দাবি শ্রীলা মজুমদারকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেছিলেন শ্রীলা। ১৯৭৯-এ মৃণাল সেনের পরশুরাম ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রীলা মজুমদারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর মৃণাল সেনের মোট ৬ ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রীলা। মৃণাল সেনের 'একদিন প্রতিদিন', 'খারিজ' ছবিতে মমতা শঙ্করের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও পরিচালক মৃণাল সেনের 'অকালের সন্ধানে', ‘চোখ’ সহ মোট ৬টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। শ্যাম বেনেগালের 'আরোহন', মান্ডির মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাতিলের মতো অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন শ্রীলা।