দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। চারিদিক টুনি লাইট, প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে। বাদ যায় না বাজি ফাটানো। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার, পুলিশের তরফে শব্দবাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তাতে থোড়াই কেয়ার। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরের মতো এ বছরও পাল্লা দিয়ে বাড়ে শব্দ দানবের বাড়াবাড়ি। বাড়ে বাকি ফাটার পরিমাণ এবং শব্দ। স্বাভাবিক ভাবেই এই শব্দে যাঁদের বাড়িতে বয়স্ক মানুষ বা শিশু রয়েছে তাঁদের পড়তে হয়েছে সমস্যায়। বাদ যায়নি যাঁদের বাড়িতে পোষ্য আছে তাঁরাও। তাই এদিন সকলের হয়েই প্রতিবাদে গর্জে উঠতে দেখা গেল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে।
শব্দবাজির বিরুদ্ধে শ্রীলেখার প্রতিবাদ
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি ভিডিয়ো পোস্ট করে শ্রীলেখা দেখান যে কালীপুজোর রাতে শহরে শব্দবাজির দাপট ঠিক কতটা ছিল। অভিনেত্রী যে ভীষণ পশু ভালোবাসেন সে কথা সকলেরই জানা। তাঁর বাড়িতেও একাধিক পোষ্য রয়েছে। তারাও এদিন শব্দের দাপটে ভয় পেয়ে যায়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে অভিনেত্রী বলেন, 'রাজ্য সরকার এটা অ্যালাও করছে কীভাবে? আর কী করে জিনিসটা হচ্ছে? এত বার করে বলার পরেও মানুষ এটা কীভাবে করছে? কুকুর বিড়ালের কথা নাই বা ভাবলেন বয়স্ক লোকজনের কথা ভাবুন। আপনার মনে প্রচণ্ড আনন্দ হতে পারে, কিন্তু আপনার আনন্দের জন্য একটা প্রাণ যাবে সেটা মানতে পারবেন তো?'
আরও পড়ুন: আলোর উৎসবে অর্পিতার দিওয়ালি পার্টি জমজমাট, শাহরুখ-সলমন-অ্যাটলি সহ কারা এলেন?
আরও পড়ুন: টুইনিং করে দীপাবলির শুভেচ্ছা যশ-নুসরতের, স্বীকৃতি-শোলাঙ্কি-সোহিনীরা কীভাবে কাটালেন আলোর উৎসব?
শ্রীলেখা মিত্রের পোস্টেই দেখা যায় তাঁর বাড়ির পোষ্যরা ভয় পেয়ে কেমন সিঁটিয়ে আছে ঘরের কোণে বা খাটের নিচে। তিনি এদিন সাহায্য চেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেই বিষয়ে আপডেট দিয়ে লেখেন, 'লালবাজার পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ ১০০ এ ডায়াল করা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ওদেরও হাত পা বাঁধা। গোটা ঘটনার জন্য দায়ী আমাদের রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা।'
কে কী বলছেন?
অনেকেই শ্রীলেখার পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'রক্ষকই ভক্ষক। কী আর কাকে বলবেন?' কেউ আবার লেখেন, 'এখন তো আবার ৯০ থেকে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে মাত্রা। ফল ভোগ করছি আমরা। রাত দেড়টা পর্যন্ত চলেছে এই অত্যাচার।' কেউ আবার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে লেখেন, 'পুলিশ গাড়ি নিয়ে ঘুরছে নামেই ঘুরছে চোখের সামনে ফাটাচ্ছে কোনও কিছুই বলছে না, আমার মেয়েকে রীতিমতো বেডরুমে বন্ধ করে রেখেছি।'