গত ২ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। তারপর কয়েকদিন পর ৬ মার্চ দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় তাঁদের রিসেপশন। আর সেই অনুষ্ঠান থেকে শুরু হয় একটি বিতর্কের। এদিন রিসেপশন পার্টির একাধিক জায়গায় বড় বড় বোর্ড টাঙিয়ে ঘোষণা করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যম, গাড়ির চালক এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবেশ নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর অনেকেই বেজায় চটেছেন। একাধিক সাংবাদিক প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। বাদ যাননি শ্রীলেখা মিত্র, জিতু কমলদের মতো অভিনেতারা। বিতর্ক উসকাতে ৭ মার্চ সন্ধ্যায় একটি পোস্ট করেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। সেখানে সাফাই দিয়ে বলেন কী?
শ্রীময়ী চট্টরাজ বিতর্ক নিয়ে কী বললেন?
এদিন ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। সেখানে তিনি বলেন, 'সাংবাদিক বন্ধুরা, ড্রাইভাররা এবং পার্সোনাল সিকিউরিটিরা নাকি আঘাত পেয়েছেন, এমন কথা আমরা জানতে পেরেছি। আমরা নাকি তাঁদের অপমান করেছি। এদিন বিয়ে বাড়িতে যে সাইনেজ বোর্ড টাঙানো ছিল তাতে লেখা ছিল প্রেস, ড্রাইভার এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবেশ নিষেধ। এটার প্রসঙ্গ টেনে অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রীরা বলছেন তাঁদের নাকি ব্রিটিশ আমলের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে যখন ক্লাবে লেখা থাকত ভারতীয় এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ। আপনারা কাদের সঙ্গে কুকুরের তুলনা করছেন? প্রেস ড্রাইভারদের সঙ্গে কুকুরদের তুলনা! একটা মানুষ কুকুর হয়ে গেল আপনাদের কাছে?'
আরও পড়ুন: বছর ঘুরতেই ফের নিকাহ পড়লেন রাখি সাওয়ান্তের প্রাক্তন! এবার আদিল খান দুরানির পাত্রী কে?
এরপর শ্রীময়ী সাফাই দিয়ে বলেন, 'আমাদের কাছে মিডিয়ার লোকজন মানুষ, ড্রাইভার মানুষ, নিরাপত্তা রক্ষীরাও মানুষ। কাঞ্চন ড্রাইভারদের পাইলট বলেন। এসব আমরা ভাবতেও পারি না। আমরা এসব বলিনি। আমরা অভিনয় করি বলে লাইমলাইটে থাকি, তাই নাকি পেশাকে সম্মান করি না এটা নয়। যে সুইপার তিনিও মানুষ। আপনারা কোন চিন্তা, বা আমাদের কেন টার্গেট করে এসব বলছেন জানি না। কিন্তু নিজেদের রুচিবোধের একটু পরিচয় দিন।'
নাম না করে শ্রীলেখাকে কটাক্ষ
এদিন নাম না করেই শ্রীলেখা মিত্রকে একহাত নেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। তিনি বলেন, 'যে অভিনেতা, অভিনেত্রীরা এসব বলছেন তাঁরা তো নিজেরাই নিজেদের ডগস মাদার, ডগস লাভার বলেন। তাহলে আপনারা কোন ভিত্তিতে কুকুরদের ছোট করছেন? আমরা তো কোনও প্রাণীকে ছোট করিনি। সবার সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। যাঁরা অনুরোধ করেছেন ঢুকতে দিয়েছি। ছবি পাঠিয়েছি সংবাদ মাধ্যমকে। যদি অপমান করতে হতো এসব করতাম?'
আরও পড়ুন: ঘর মোরে পরদেশিয়ায় নেচে তাক লাগলেন নীতা আম্বানি, ভাইয়ের সঙ্গীতে মাকে সঙ্গ দিলেন ইশাও
কাঞ্চন শ্রীময়ীর বিয়ের প্রসঙ্গে
গত ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ডিভোর্স পান কাঞ্চন। তারপর আর দেরি করেননি। বরং ভালোবাসার দিনে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সেরে নেন শ্রীময়ীর সঙ্গে।