সদ্যই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। বিয়ের কদিন যেতে না যেতেই অভিনেতা জানালেন তিনি একটি বিশেষ কাজ একেবারেই পারেন না। তাঁর তৃতীয় বিয়ের পর এখন ৫৩ বছর বয়সে এসে তিনি শ্রীময়ীর থেকে শিখছেন সেটা। কিন্তু কী শিখছেন? ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের ব্যবহার, লাইভে এসে কথা বলা।
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর নতুন ভিডিয়ো
বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে আসছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। সঙ্গে থাকছেন কাঞ্চন মল্লিকও। তাঁদের অষ্টমঙ্গলা থেকে শুরু শিবরাত্রি সহ নানা সময় পরিবারের সঙ্গে কীভাবে কাটাচ্ছেন বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। এদিনও তিনি কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে লাইভে আসেন। এসেই তিনি সকলকে ধন্যবাদ তাঁদের বিয়েতে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। একই কথা শোনা যায় কাঞ্চনের মুখেও। তারপর তাঁরা যৌথ ভাবে তাঁদের অনুরাগীদের দোলের আগাম শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: 'তানহাজি'-'দৃশ্যম ২'-এর ধারা মেনেই এগোচ্ছে শয়তান! পাঁচদিনে বক্স অফিসে কত কোটি আয় করল অজয়ের ছবি?
আরও পড়ুন: ভাইজান ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! 'পাঠান ২'-'ওয়ার ২'-তে থাকবে না 'টাইগার' সলমনের ক্যামিও?
এরপরই কাঞ্চন বলেন, 'আমি এমনই ক্যামেরার সামনে সাবলীল হলেও, এই ক্যামেরার (লাইভ) সামনে সাবলীল নই। আমি এসব ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে জানি না। ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে আমি ছবি বেছে দিই কী পোস্ট হবে, সেগুলো আমার পিআর টিম পোস্ট করে। এখন ও (শ্রীময়ী চট্টরাজ) আমায় হাতে ধরে এসব শেখাচ্ছে। যেদিন শিখে যাব দেখবেন আমি একাই কথা বলে যাব।'
কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর বিয়ের প্রসঙ্গে
গত ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ডিভোর্স পান কাঞ্চন। তারপর আর দেরি করেননি। বরং ভালোবাসার দিনে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সেরে নেন শ্রীময়ীর সঙ্গে। ২ মার্চ করেন সোশ্যাল ম্যারেজ। বিয়ের রাতে তাঁকে লাল বেনারসির সঙ্গে গা ভর্তি সোনার গয়না, শোলার মুকুট, আকন্দ ফুলের মালায় দেখা যায়। অন্যদিকে কাঞ্চন পরেছিলেন সাদা পঞ্জাবি এবং ধুতি, তাতে ছিল লাল পাড়ের কাজ। কেবল নিয়ম আচার বা পোশাকে নয়। তাঁদের বিয়ের মেনুতেও এদিন ছিল ভরপুর বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। ছিল পোলাও, মাটন, ইত্যাদি।
গত ৬ মার্চ দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় তাঁদের রিসেপশন। আর সেই অনুষ্ঠান থেকে শুরু হয় একটি বিতর্কের। এদিন রিসেপশন পার্টির একাধিক জায়গায় বড় বড় বোর্ড টাঙিয়ে ঘোষণা করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যম, গাড়ির চালক এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবেশ নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর অনেকেই বেজায় চটেছেন। একাধিক সাংবাদিক প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। বাদ যাননি শ্রীলেখা মিত্র, জিতু কমলদের মতো অভিনেতারা। সেই বিতর্কের সাফাইও দিয়েছেন কাঞ্চন শ্রীময়ী।