সম্প্রতি মেয়ের বাবা হয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আদর করে নাম রেখেছেন ‘উলুপী’। নারী দিবসেই প্রথমবার মেয়ের ছবি সামনে এনছেন সৃজিত। ক্যাপশানে আবার কবীর সুমনের গাওয়া গানের একটি পঙ্ক্তি টেনে লিখেছেন, ‘তুই হেসে উঠলেই সূর্যও লজ্জা পায়’। এদিকে সৃজিতের মেয়ের ছবি দেখে ফেসবুকে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। বেশকিছু পরিচিতদের কমেন্টের উত্তরও দিয়েছেন সৃজিত।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মেয়ের ছবি দেখে আপ্লুত লেখিকা সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘আশা করি তোমাকে লম্বায় মাপবে না’। তাঁর উত্তরে সৃজিত পাল্টা লেখেন, ‘এটা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজব মাত্র। ওদের অত আইকিউ হয় না।’ পাল্টা লেখিকা জবাব দেন, ‘জানি, ওর সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাও’। এরপরই মেয়েকে দেখার জন্য লেখিকা সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৃজিত। লেখিকা পাল্টা জানতে চেয়েছে, তিনি তাঁর মেয়ের জন্য কী উপহার নিয়ে যাবেন? সৃজিত লেখিকাকে মেয়ের জন্য ইঁদুর কিংবা অ্যাকোরিয়ামের পাথর নিয়ে আসতে বলেছেন।
এখানেই শেষ নয়, আরও একজন সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়কে প্রশ্ন করেছেন 'উলুপী কী খায়?' উত্তরে পরিচালক জানিয়েছেন ইঁদুর কিংবা হ্যামস্টার (ইঁদুর জাতীয় প্রাণী। তবে ইঁদুরই ওঁর প্রয়োজন, হামস্টারটা লাক্সারি। অনিন্দিতা সর্বাধিকারী সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে তাঁর মেয়ের ডায়েট সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছেন। সৃজিত জানিয়েছেন উলুপী ৭ দিনে একবার ইঁদুর খায়। এমনই নানান মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য উঠে এসেছে। অনেকেই পরিচালকের মেয়েকে দেখতে তাঁর বাড়ি যেতে চেয়েছেন। সৃজিতের কাছে উলুপীকে দেখতে চেয়েছেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় মুখোপাধ্যায়ও। মজা করে লিখেছেন, ‘আমি কবে কোলে নেব ভাবছি।’ রাহুলকেও বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৃজিত।
আবার কবি শ্রীজাতর স্ত্রী দূর্বা বন্দ্য়োপাধ্যায় মজা করে লিখেছেন, 'দুদিন আগে সকালে উঠে দেখি শ্রীজাত আবোলতাবোলকে বলছে তোমাকে একটা কাকুর বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাব, সেখানে একটা অজগর বোনু এসেছে…too much , হ্যাঁ ! এদিকে সৃজিত দূর্বাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করলে তিনি জানিয়েছেন খুবই ভয় পান।
প্রসঙ্গত, বনে জঙ্গলে থাকা এই পাইথন এখন থাকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের লেক গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটে, পরিচালকের বেডরুমে। তাঁদের আদর করে লালন-পালন করছেন সৃজিত।
এর আগে অন্যসময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিত জানিয়েছিলেন তিনি উলুপীকে এনেছেন কেরালা থেকে। উলুপীকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য ‘খুবই মিষ্টি ব্যক্তিত্ব। ও কুণ্ডুলী পাকিয়ে শুয়ে থাকতে পছন্দ করে। সাতদিকে একবার খায়, বিকেলে একবার ঘুরতে বের হতে পছন্দ করে।’