গদর- ২ সাফল্য। আপাতত ছবির 'তারা সিং' সানি দেওলকে নিয়ে মজে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। এরই মাঝে সানির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন পরিচালক, প্রযোজক সুুনীল দর্শন। সুনীলের অভিযোগ, সানি তাঁর কাছ থেকে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ২৫হাজার টাকা নিয়েছিলেন, যে টাকা তিনি আজও ফেরত দেননি।
হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। সানি দেওলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন সুনীল দর্শন। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
এক সাক্ষাৎকারে সুনীল দর্শন বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৬ সালে। যে বছর সুনীল দর্শন পরিচালিত এবং প্রযোজিত ছবি 'অজয়'-এ অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল। সেই ছবির বিতরণ স্বত্ত্ব চেয়েছিলন সানি। কারণ, সানি দেওল নিজের একটি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থা খুলতে চেয়েছিলেন। সুনীল দর্শন জানান, তিনি সানিকে সেসময় সাহায্য করতে চেয়েছিলেন, আর তাই তাঁকে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ২৫হাজার কোটি টাকাও দেন। তার সঙ্গে দিয়েছিলেন ছবির কিছু কাগজপত্র। সানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, লন্ডন থেকে টাকা এলে তিনি সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। তবে সে টাকা আজও সানি ফেরত দেননি বলে অভিযোগ সুনীল দর্শনের। তাঁর কথায়, সানির লোক এসেছে আমার কাছ থেকে ছবি প্রিন্ট নিয়ে গিয়েছিলেন, তবে টাকা ফেরত আসেনি। সেসময় সানিকে তিনি ফোনে টাকার কথা বললে, অভিনেতা জানিয়েছিলেন বড়দিনের ছুটিতে লন্ডনের ব্যাঙ্ক বন্ধ।
আরও পড়ুন-শরীর বদলে শ্রী এখন নারী, মাও হয়েছেন, সেই রপান্তরকামী বোনের থেকে রাখি পরলেন রামকমল
আরও পড়ুন-রাহুলের হেনস্থার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রত্যুষা, জানিয়ে দিল আদালত
সুনীল দর্শনের কথায়, সানি টাকা ফেরতের কথা এড়িয়ে গিয়ে তাঁকে বহুবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হায়দরাবাদ, জয়পুর, মুম্বই সহ বিভিন্ন শহরে ডেকেছেন। তবে টাকা ফেরত আসেনি। টাকা ফেরত না দিতে পারার কারণ হিসাবে নিজের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন সানি।
সুনীল দর্শনের আরও অভিযোগ, 'টাকা ফেরত নিয়ে বহুবার সানি তাঁকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সানি তাঁর দুটি ছবিতে আমার সাহায্য চেয়েছিলেন, বলেন, ছবি শেষ হলে আমায় বেতনের সঙ্গে বকেয়া টাকা দেবেন। সানিকে আমি সেবারও বিশ্বাস করেছিলেন, তাই ওঁর সঙ্গে কাজও করি। তবে ছবিও শেষ হয়নি, টাকাও পাইনি। পুরো বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। তবে সানি এখন আদালতের কথাও মানছেন না। সানি আদালতকে জানিয়েছেন, আমাকে ফেরত দেওয়ার মতো টাকা তাঁর নেই। যেজন্য তিনি আমার ছবিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে পরে চিত্রনাট্য পরিবর্তনের দাবি করে, শ্যুটিংয়ের তারিখ বদলের কথা বলে এড়িয়ে যান। আসলে সানি আমায় টাকা ফেরতই দিতে চান না। গত ২৭ বছর ধরে আমি আদালতের চক্কর কাটছি। ব্যক্তিগতভাবেও বলেছি, তবে কোনওকিছুতেই লাভ হয়নি। সানির কাছে আমার ১ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। সানি অনেক সম্পত্তি তৈরি করেছেন কিন্তু অন্যের টাকা ফেরত দিতে ভুলে গেছেন। আমি দেশের আইনে বিশ্বাস করি এবং আমি আশা করি আমার টাকা ফেরত পাব।'