বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Sunidhi Chauhan: ‘ছেলেদের মতো গলা’, ২৭ বছর পরেও শুনতে হয় সুনিধিকে! কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছিলেন কাকে?

Sunidhi Chauhan: ‘ছেলেদের মতো গলা’, ২৭ বছর পরেও শুনতে হয় সুনিধিকে! কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছিলেন কাকে?

সুনিধির আফসোস 

Sunidhi Chauhan: ২৭ বছরের কেরিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছেন সুনিধি। তাঁর কন্ঠ নাকি শুধু আইটেম গানের উপযুক্ত, অনেক পরিচালক এমনটাই মনে করতেন। সেই ধারণা ভাঙতে সাহায্য করেন অনু মালিক। 

বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সুনিধি চৌহান। মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্লে-ব্যাক সিঙ্গিং-এর দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন গায়িকা। দেখতে দেখতে ২৭ বছর পার করে ফেলেছেন। কেরিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী থেকেছেন সুনিধি, ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে ঝড়-ঝাপটা। তবে সবকিছু সামলে অটুট থেকেছে গায়িকার মিউজিক্যাল জার্নি। আরও পড়ুন-'জওয়ান' দেখে রঞ্জিত মল্লিককে মনে পড়েছে! শাহরুখকে নিয়ে সরব বাঙালির 'বেল্টম্যান'

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন সুনিধি। পরিচালক থেকে একাধিক সঙ্গীত পরিচালক শুধুমাত্র ‘আইটেম গান’-এর যোগ্যই মনে করেছে তাঁকে। রোম্যান্টিক গানে তাঁর গলা মানায় না, সুনিধি মানেই ‘আইটেম সং’, এই ইমেজ ভাঙতে একমাত্র অনু মালিককেই পাশে পেয়েছেন গায়িকা। বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনিধি বলেন, একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সুনিধি কোন কোন জঁরে গান গাইতে অভ্যস্ত ভালোমতোই জানতেন অনুমালিক। আইটেম গানের পাশাপাশি সফট-রোম্যান্টিক গান গাইতেও পারেন সুনিধি, তা চিনে ছিলেন অনু। গায়িকার জন্য পরিচালক জুটি আব্বাস-মস্তানের সঙ্গে ঝগড়া পর্যন্ত বাঁধিয়ে বসেছিলেন অনু মালিক। 

সুনিধি বলেন,‘অনুজি বলেছিলেন সুনিধি মেরি জিন্দেগি মে (আজনবি, ২০০১) গাইবে। ওটা অন্য এক বড়ো গায়িকার গাওয়ার কথা ছিল। ওই গানটা সফল হয়, তারপর আমি রোম্যান্টিক গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, অনেক সময় একটা মানুষের দরকার হয় এই পরিবর্তনটার জন্য'।

কেরিয়ারে এত লম্বা সফর পার করার পড়েও অনেকের চোখেই সুনিধির কন্ঠ বড্ড পুরুষালি! ‘শিলা কি জওয়ানি’ গায়িকার কথায়, ‘তারা হয়ত জানেন না আমার কন্ঠকে আর কীভাবে বর্ণণা করবেন, তাই ওটা বলেন। অনেকের কন্ঠ সরু হয়, কারুর মোটা হয়। আর তার মাঝের কন্ঠস্বরের অধিকারী যে-সব মেয়েরা হয়, তাদের গলা পুরুষালি। আসলে এটা ভগবানের আর্শীবাদ। আমার গলাকে পুরুষালি বললে সেটা আমার কাছে প্রশংসা। আমি আজ যে জায়গায় রয়েছি, সেটা আমার কন্ঠের জোরেই। অনেক মানুষের জীবন ছুঁতে পেরেছি এই কন্ঠের সুবাদেই’।

অটো-টিউন নিয়েও এক্কেবারে চাঁচাছোলা জবাব গায়িকার। অটোটিউনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে গায়িকা জানান, ‘টেকনোলজির আর্শীবাদে সবার গলা শুনতে ভালো লাগে ঠিকই, কিন্তু তা বলে সবাই সঙ্গীতশিল্পী হতে পারে না। আপনি যা ভুল গাইবেন সেটা ঠিক করে দেবে অটোটিউন। দুটোর মধ্যে ফারাক রয়েছে। শ্রোতাদের সেটা বুঝতে হবে’। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সুনিধির সিঙ্গল, ‘তুম কেহতে হো’। দীর্ঘদিন পর বাংলা ছবিতেও গান গাইছেন সুনিধি। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের 'একটু সরে বসুন’ ছবিতে অনিন্দ্যর সুরে গান গেয়েছেন সুনিধি।

 

 

বন্ধ করুন