তাঁর পরনে ছিল সাদা শার্ট, গলায় ঝুলিয়েছিলেন পান্নার মালা, মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচছেন ‘আবরার’ ববি দেওল। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বাজছে ‘জামাল কুদু’ গানটি। পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবিতে নিজের তিন নম্বর বিয়ের আসরে এই গানের তালে পা মিলিয়েই এন্ট্রি হয়েছিল ববির। তারপর থেকে এই একই গানের তালে এখনও নেচে চলেছে প্রায় গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং ‘জামাল কুদু’। আট থেকে আশি সকলেই কোমর দোলাচ্ছেন ‘জামাল কুদু’তে। তাবে ‘দেওল’ পরিবারই বা পিছিয়ে থাকে কীভাবে! আর এবার ‘জামাল কুদু’ গানে ববির সঙ্গী দাদা সানি দেওল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে একইভাবে 'জামাল কুদু' নাচছেন ববি দেওল। পরনে তাঁর সাদা প্য়ান্ট ও ব্লেজার, তবে এবার মাথায় রাখা কাচের গ্লাসটি খালিই ছিল। ববির সঙ্গে পা মেলালেন উপস্থিত সহকারী নৃত্য শিল্পীরা। নাচ শেষ হতেই দাদা সানি দেওলের দিকে এগিয়ে গেলেন ববি। তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর সানির মাথায় ফাঁকা কাজের গ্লাসটি চাপিয়ে দিলেন তিনি। অর্থাৎ সানিকেও একইভাবে নাচার অনুরোধ করলেন। তবে ব্যালেন্স নাও থাকতে পারে, এই ভয়ে হাত দিয়ে ফাঁকা কাচের গ্লাস ধরে রেখেই নাচলেন সানি দেওল। দাদার সঙ্গে পা মেলাতে মেলাতে তালি দিতে থাকলেন ববি। সেই মুহূর্ত উঠে এসেছে ই-টাইমসের ক্যামেরায়।
'দেওল' ভাইদের একসঙ্গে এই নাচের ভিডিয়ো দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের বন্যা বইছে। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘ববি ভাই, আপনি অসাধারণ, আমি আপনার ফ্যান ছিলাম। অ্যানিম্যাল দেখার পর আরও বড় ফ্যান হয়ে গিয়েছি।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘দুই ভাইয়ের সম্পর্ক বড়ই মধুর।’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
এর আগে ভাইরাল জামাল কুদু গানে নাচতে দেখা গিয়েছিল সানি ও ববির বাবা, বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকেও।
প্রসঙ্গত, ইরানের জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত হল এই ‘জামাল কুদু’। শোনা যায়, প্রায় ৭০ বছর আগে ইরানের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে এই গানটি গাওয়া হয়েছিল। ১৯৫০ দক্ষিণ ইরানে খারাজেমি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রথম বার গাওয়া হয় 'জামাল কুদু' গানটি। পরে সেই গান একটু একটু করে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। আজ পারস্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এটি। ইরানের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই গানটি গাওয়া অলিখিত রেওয়াজ।
জানা যায়, ‘জামাল জমলো কুদু’ গানটি ইরানি কবি বিজান সামানদারের লেখা থেকে নেওয়া। তবে ভারতীয় দর্শকদের কাছে এই গান নতুন আঙ্গিকে পেশ করেছেন সুরকার হর্ষবর্ধন রামেশ্বর। গানের যে লাইন সবথেকে বেশি জনপ্রিয়, সেটা হল ‘জামাল জামালেক জামলো জামাল কুদু’। এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘ও আমার প্রিয়, আমার ভালবাসা, আমার মিষ্টি ভালবাসা’।