সুশান্ত মামলার তদন্তে নেমে মাদকযোগ থাকার অভিযোগে গতকালই রিয়া চক্রবর্তীর ভাই এবং সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আজ তাদের দক্ষিণ মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করল এনসিবি। দুই অভিযুক্তকে ৪ দিনের এনসিবির হেফাজতে পাঠাল আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কাস্টডিতে থাকবে এই দুই অভিযুক্ত।
শৌভিক, স্যামুয়েলের পাশাপাশি এই মামলায় গ্রেফতার মাদক পাচারকারী কাইজান ইব্রাহিমকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল এসপ্ল্যানেড আদালত।
এদিন আদালতে শৌভিকের জামিনের দাবিতে দলিল পেশ করেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে। তিনি দাবি করেন এনসিবি শুক্রবার সকালে শৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনওরকম মাদক খুঁজে পায়নি। যদিও এনসিবির তরফে পাল্টা জানানো হয় তাঁদের কাছে শৌভিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ইলেকট্রনিক এভিডেন্স রয়েছে। এবং এই মামলায় গ্রেফতার দুই মাদক পাচারকারী জায়েদ ভিলেট্রা, আবদুল বসিত পরিহার নিজেদের বয়ানে শৌভিকের নাম নিয়েছে। দুজনের কল ডিটেলস রেকর্ড, লোকেশন ডিলেটস সব মিলিয়ে দেখা হয়েছে-এই ড্রাগ সিন্ডিকেটের অংশ শৌভিক চক্রবর্তী তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাঁদের হাতে।
শনিবার সকালে সিয়ন হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার পর এসপ্ল্যানেড আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করা হয়েছে শৌভিক,স্যামুয়েলের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে এই মামলায় মোট গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে।