শৌভিক চক্রবর্তীকে ড্রাগস জোগাড় করে দিত, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোকে দেওয়া এই জবানবন্দি এবার প্রত্যাহার করল দুই অভিযুক্ত। তাদের অভিযোগ, এনসিবি জেরার সময় জোর করে এই সব কথা বলিয়ে নিয়েছিল। প্রসঙ্গত, এদের বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক ও সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও তাঁর পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
এদিন মুম্বইয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হলে ড্রাগ সাপ্লাইয়ের দায় অভিযুক্ত জৈদ ভিলাত্রা ও আবদেল বাসিত পরিহার নিজেদের জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে তারা আছে এনসিবি-র হেফাজতে। ভিলাত্রা ও পরিহার দুজনকেই তিন তারিখ গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন তাদের আইনজীবী তারেক সৈয়দ বলেন যে শুধু জবানবন্দি প্রত্যাহার নয়, বেলের জন্যেও তারা আবেদন করা হয়েছে। ড্রাগের পরিমাণ খুব কম বলে এটি জামিনযোগ্য বলে সৈয়দ দাবি করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এদিন বেলের আবেদনে আপত্তি করে এনসিবি। তারা বলে যে আরেকটু সময় চাই তদন্ত করার জন্য। এদিনকার মতো মামলা মুলতুবি হয়ে যায়। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
সুশান্ত ও রিয়া কি ড্রাগ ব্যবহার করতেন, সেই সংক্রান্ত তদন্তে এই দুইজনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। প্রথমে আব্বাস আলি লাখানিকে গ্রেফতার করা হয় ৪৬ গ্রাম গাঁজা সমেত। এরপর তার দেওয়া খবর অনুযায়ী, করণ আরোরাকে গ্রেফতার করা হয় ১৩ গ্রাম গাঁজা সহ। এরপর এদের প্রশ্ন করে নাম আসে ভিলাত্রা ও পরিহারের। এনসিবি বলে যে জেরায় পরিহার স্বীকার করেছে রিয়ার ভাই শৌভিকের নির্দেশে সে মারিজুয়ানা কিনেছিল। এরপর সৌভিকের কথায় সেটা মিরান্ডাকে দিয়েছিল সে।
এরপরেই সৌভিক ও সুশান্তের দুই স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়। লাগাতার দুই দিন জেরা করা হল রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু অভিযুক্তরা নিজেদের বয়ান প্রত্যাহার করায় পুরো মামলাটাই এখন অনেকটা ঘুরে গেল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।