১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স-এর খেতাব জিতেছিলেন সুস্মিতা সেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট উঠেছিল এই বঙ্গতনয়ার মাথায়। প্রমাণ করেছিলেন নিজের জায়গা। বিশ্বের মঞ্চে ভারতকে তুলে ধরেছিলেন স্বমহিমায়। তবে জানেন কি প্রতিযোগিতায় তাঁকে করা শেষ প্রশ্নটি ঠিকমতো বুঝেই উঠতে পারেননি তিনি! কারণ আজন্ম হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়া সুস্মিতার ইংরেজি সড়গড় ছিল না তখনও। একথা কোনও বলিউডি ফিসফাস নয়, স্বীকার করে নিয়েছেন সুস্মিতা নিজেই!
ছোট মেয়ে আলিশার স্কুল পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা ফাঁস করেছেন সুস্মিতা। জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় তাঁকে করা শেষ প্রশ্নটি ছিল 'নারীত্বের অর্থ ঠিক কী তাঁর কাছে?' সুস্মিতার কথায়, ' প্রথমত আজীবন হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়ার দরুণ ইংরেজিতে তখনও সেভাবে সড়গড় ছিলাম না। স্বভাবতই মঞ্চেও তখন ওই প্রশ্নের ঠিকঠাক অর্থ বুঝে উঠতে পারিনি। তবে যে ভীষণ পরিষ্কারভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে ওই প্রশ্নের জবাব দিতে পেরেছিলাম তাও আবার ওই বয়সে, তা ভাবলে অবাক লাগে। কীভাবে দিতে পেরেছিলাম ওই জবাব তা আজও জানি না। হয়তো ঈশ্বর স্বয়ং আমার জিভে ভর করেছিলেন। আর হয়ত মনে মনে উনি ভেবেছিলেন ওই কথাগুলি আমার বলা উচিত কারণ সেরকমভাবেই পরবর্তী সময়ে আমি আমার জীবনের গতিপথ ঠিক করব।'
এখনই না থেমে সুস্মিতা আরও বলেছেন, 'আমি সেদিন মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে এই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম নারী হয়ে জন্মানোটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আজও ভীষণভাবে সেকথায় বিশ্বাসী। এবং আমাদের সকলেরই তা বোঝা উচিত। কারণ জীবনের অন্যতম অর্থ তো উপলব্ধি করা। বলতে চাইছি, নারী মানেই সন্তান উৎপাদনের কোনও যন্ত্র নয়। তাই নারী মানে শুধুই একজন মা, এমনটি নয়। নারীরাই পারেন এই বিশ্বকে বোঝাতে ভালোবাসা, যত্ন এবং একসঙ্গে বেঁচে থাকার প্রকৃত অর্থ।'