বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের মুকুটে নতুন পালক। প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স পশ্চিমবঙ্গের টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে অনারারি ডক্টর অফ লেটারস (ডি. লিট) ডিগ্রিতে সম্মানিত হয়েছেন। যদিও সুস্মিতা সশরীরে এটি গ্রহণ করতে পারেননি, অভিনেত্রীর বাবা সুবীর সেন তাঁর পক্ষে এটি গ্রহণ করেছিলেন।
সাম্মানিক ডক্টরেট এবং অভিনন্দন অনুষ্ঠানে থেকে অভিনেত্রী তাঁর বাবার এই সম্মান গ্রহণের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মাননীয় (ড.) সুস্মিতা সেন। শুধু দেখতে হবে এটার সঙ্গে কেমন লাগে! ব্যক্তিগতভাবে ডি.লিট প্রাপ্তি মিস করেছি, সবচেয়ে খারাপ ভাইরাল...কিন্তু গতকাল আমার বাবা সুবীর সেনকে আমার পক্ষ থেকে এই সম্মান নেওয়ার জন্য...এটাই সব কিছু!! ধন্যবাদ বাবা!!!! মাথা উঁচু রাখো, তুমি গর্বিত’। আরও পড়ুন: সিল্কের শাড়িতে নজরকাড়া লুকে বলিউড ডিভারা, সাজে টেক্কা দিলেন একে অপরকে
দেখুন সুস্মিতা সেনের পোস্ট-
সুস্মিতা সেন বর্তমানে তাঁর আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘তালি’র প্রচারে ব্যস্ত। 'তালি'-তে সুস্মিতা সেনের রূপান্তরকামী লুকে অনেকেই মন্ত্রমুগ্ধ। ট্রেলারে ভোল বদলে সুস্মিতা যেভাবে প্রথমে গণেশ, পরে গৌরী সাওয়ান্তের লুকে ধরা পড়েছেন, তাতে অনেকেই চমকে গিয়েছেন।
সুস্মিতা সেন অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'তালি' মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন। রূপান্তরকামী সমাজকর্মী গৌরী সাওয়ান্তের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই ওয়েব সিরিজ।
কিন্নর সমাজকর্মী গৌরী সাওয়ান্তের জীবনকাহিনি নিয়ে বাস্তব প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে এই সিরিজের গল্প। বৃহন্নলার ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে কম কাঠখড় পোহাতে হয়নি সুস্মিতা সেনকে। প্রস্থেটিকের সাহায্য নেননি, পুরুষালি শারীরিক গড়ন আনতে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নিজের ওজন। ডাবিংয়ের সময় পুরুষালি কণ্ঠ নিজে আলাদা করে রেকর্ড করেছিলেন। যার জন্যে গলার স্বর ভেঙে গিয়েছিল সুস্মিতার। বুকে ব্যান্ডেজ বেঁধে শ্যুট করতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
ওয়েব সিরিজে পর্দায় একে একে ফুটে উঠবে গণেশ থেকে গৌরী এবং একজন মা হওয়ার লড়াইয়ের গল্প। গণেশ চাইত সে বড় হয়ে মা হবে। কিন্তু তাকে খুব ছোটতেই বুঝিয়ে দেওয়া হয় পুরুষরা মা হয় না। তার ইচ্ছেকে সেখানেই দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দেওয়া হয় শাস্তিও। তবুও দমে যায়নি সে। একটু একটু করে মন থেকে, শরীর থেকে মেয়ে হয়ে ওঠে গণেশ। তার পরিচয় ঘটে তৃতীয় লিঙ্গের একটি দলের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে নাচ, গান, পুজোয় মেতে ওঠে কিশোর গণেশ। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর লড়াই। অস্ত্রোপচার করে মনের পাশাপাশি শরীরের দিক থেকেও গণেশ পুরোপুরি গৌরী হয়ে ওঠে। তারপর শুরু হয়ে তাঁর আরও একটি সামাজিক লড়াই।