বলিউড অভিনেতা ইরফান খানের চলে যাওয়া এখনও অবিশ্বাস্য ঠেকে তাঁর ভক্তদের কাছে। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই থেমে যায় সেই ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল। দেখতে দেখতে তিনটে বছর পেরিয়ে গেলেও দর্শক মনে সেই খালি জায়গা হয়তো কোনওদিনই কেউ আর পূরণ করে উঠতে পারবেন না। সম্প্রতি স্বামীকে নিয়ে লেখা বই ইরফান খান: আ লাইফ ইন মুভিজ (Irrfan Khan: A Life in Movies) প্রকাশ করেছেন ইরফান পত্নী সুতপা সিকদার। যেখানে প্রয়াত অভিনেতার যে কোনও দৃশ্যে ইম্প্রোভাইজেশন করার ক্ষমতা নিয়ে লিখেছেন তিনি। সঙ্গে জানান, ইরফানের এই কাজ পিকু করাকালীন মোটেই ভালোভাবে নেননি অমিতাভ।
সুতপার কথায়, ‘ইরফান পরিচালক ও সংলাপ লেখকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বসে আলোচনা করতেন। তাও দেখা যেত ক্যামেরার সামনে গিয়ে সেটা নিজের মতো বদলে নিচ্ছেন ইরফান। নিজেকে লাইমলাইটে আনার জন্য এমনটা করতেন না তিনি। তবে দেখা যেত ভাষা নিজের মতো করে বদলে নিচ্ছেন।’
সুতপা জানান, পিকু করার সময় ইরফান খানের এই স্বভাব খুব ভলো লেগেছিল সেই ছবির পরিচালক সুজিত সরকারের। তবে সবসময় গুছিয়ে, নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে কাজ করা অমিতাভের মোটেও ভালো লাগেনি প্রথমদিকটায়। যদিও পরে অমিতাভ আর ইরফানের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল।
‘বচ্চনসাব নিজের দৃশ্যের জন্য একদম প্রস্তুত হয়ে সেটে আসতেন। সেই সময় যখন ইরফান কোনও কিছু ইম্প্রোভাইজড করে দিত তখন একটু রেগেই যেতেন। এরপর তাঁরা বন্ধু হয়ে যায়।’, বলেন সুতপা।
প্যান ম্যাকমিলান ইন্ডিয়া-র দ্বারা এই বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল দিল্লিতে। সুতপার লেখনীতে ফুটে উঠেছে ইরফানের অভিনয় কেরিয়ারের নানা খুঁটিনাটি তথ্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল পিকু। সুজিত সরকারের পরিচালনায় কাজ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোন আর ইরফান খান। ছবি ১১৫ কোটির কাছাকাছি আয় করেছিল বক্স অফিসে।