করোনা সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিনেত্রী তনিশা মুখোপাধ্যায়। মুম্বইয়ে বান্দ্রায় মা তনুজা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘরবন্দি তনিশা। ফিভার নেটওয়ার্কের 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তনিশা জানান,'আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চিন্তার কারণ হল-অনেক মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। সেইসব মানুষরা হয়ত মহামারী নিয়ে চিন্তিত নন। কারণ মহামারী তাঁদের না মারলেও 'ভুখ' নিঃসন্দেহে তাদের মৃত্যুর কারণ হবে। মুম্বইয়ে থাকবার সুবাদে আমি এখন উপলব্ধি করছি, শুধুমাত্র বেঁচে থাকবার জন্য কত মানুষ এই শহরে আসে। সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখে আমার মন কাঁদছে'।
লকডাউন লাইফ সম্পর্কে তনিশা জানান, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে আমার একটা সুন্দর বাড়ি আছে, সুন্দর ছাদ আছে-আমি লাকি। আমার মা আমাকে কোনওদিনও বোরিং পার্সন হওয়া শেখায়নি’।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেছিলেন তনিশা। ৬ বছরের তনিশা একটি ম্যাগাজিনের জন্য শ্যুট করেছিলেন মায়ের সঙ্গে,সেই স্মৃতিচারণা করে তনিশা বললেন-'আমার মা এভারগ্রিন বিউটি'।
মেয়েবেলার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে তনিশা বললেন, ‘আমরা সবাই লোনাভালায় যেতাম। আমার ঠাকুমার বাড়িতে।সেখানে আমাদের অসম্ভব সুন্দর স্মৃতি রয়েছে। ওখানে কোনও টেলিভিশন ছিল না,২৪ ঘন্টা বিদ্যুত্ থাকত না। কিন্তু আমরা নিজেরাই একে অপররের সঙ্গে ব্যস্ত থাকতাম’।
লকডাউনে নতুন কি শিখছেন তনিশা? অভিনেত্রী জানালেন,'লকডাউনে ওয়ার্ক আউট আর কুকিং ভিডিয়ো দেখে দেখে আমি ক্লান্ত! আমি সত্যি চাই না তুমি কী খাবার খাচ্ছো। আমি এই সময়টা কাটাচ্ছি মিষ্টি না খাওয়ার প্রচেষ্টায়। আমি খুব মিষ্টি এডিক্ট। খুব সচেতনভাবে আমি সেটা ত্যাগ করার চেষ্টা করছি'।
লকডাউন লাইফেরও একটা নির্দিষ্ট রুটিন থাকা বলে মনে করেন তনিশা। নীল অ্যান্ড নিকি খ্যাত অভিনেত্রী বললেন, ‘প্রত্যেকদিন ওয়ার্কআউট করাটাও খুব জরুরি। আমি প্রতিদিন বিকাল পাঁচটায় ওয়ার্কআউট করি। সেটা কোনওভাবেই মিস করি না। সাধারণ সময়ে সপ্তাহে কাজের দিনগুলোতে ৮টায় ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। তবে এখন একটু দেরি হচ্ছে কারণ রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখছি’। লকডাউনের এই সময়টায় লেখালেখি করেও সময় কাটছে তনিশার।
লকডাউন লাইফে কোন জিনিসটা মিস করছেন তনিশা? ওয়ার্কআউট ফ্রিক তনিশা পিলাটে ক্লাস সবচেয়ে বেশি মিস করছেন। বাড়িতে থেকে ওয়ার্কআউট করা খুব বেশি পছন্দ করেন না তনিশা। তাই জিম ক্ল্যাস, সেই আবহটাই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি মিস করছেন তনুজা কন্যা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।