‘আশিক বানায়া আপনে’ সিরিয়াল যেন রাতারাতি সেনসেশন ফেলে দিয়েছিল। তনুশ্রী দত্ত আর ইমরান হাসমির শয্যা দৃশ্য আর ভেজা চুমু, ঝড় তুলেছিল দর্শকদের মনেও। ইমরান তো পরিচিতিই পেয়ে গেলেন সিরিয়াল কিসার হিসেবে। তবে আচমকাই বলিউড কেরিয়ার, গ্ল্যামার দুনিয়াকে ‘অলবিদা’ জানান তনুশ্রী দত্ত।
২০১০ সালে তাঁর শেষ সিনেমা ছিল ‘অ্যাপার্টমেন্ট’। তবে সোমবার এমন একটি রিল শেয়ার করলেন তনুশ্রী, যা স্মৃতির খাতা বেয়ে তাঁকে নিয়ে গেল আশিক বানায়া আপনে-র সময়ে। Eshan Masih নামে এক ভিডিয়ো ক্রিয়েটারের সঙ্গে তাঁকে নাচতে দেখা গেল এই ঠহির টাইটেল ট্র্যাকে। পরেছিলেন একটি ক্রিম রঙের গাউন। কোমরে কালো বেল্ট। চুল খোলা। বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থাতেই নাচছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রানাঘাটে কনসার্ট আদৃত রায়ের! কবে-কোথায় পারফর্ম করবে তাঁর ব্যান্ড পোস্টার বয়েজ
রিল ভিডিয়োটি শেয়ার হতে না হতেই ভাইরাল। একজন কমেন্ট করে লিখলেন, ‘আমি তো চিনতেই পারিনি। কত বদলে গেছে’! আরেকজনের মন্তব্য, ‘অনেকটা ওজন বেড়েছে। তবে হ্যাঁ মুখের এক্সপ্রেশন একই ভাবে সেক্সি’। তৃতীয়জন লিখলেন, ‘চুমুটা মিস করছি। এবার এই নকল ইমরান হাসমিকে একটা চুমু খেয়ে নিন।’
আরও পড়ুন: দুই বোনের এক বর! উঠছে না মিঠিঝোরার টিআরপি, খবর আসছে নতুন নায়ক, শৌর্য-র মুখ বদল?
কদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল ইমরানকে চুমু খাওয়া নাকি খুব একটা স্বস্তিকর ছিল না তাঁর জন্যে। তিনি বলেছিলেন, ‘ইমরান আমার জন্য বরাবরই একজন সহ-অভিনেতা। আমি তার সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি।'চকোলেট'-এও একটি চুম্বন দৃশ্যের শ্যুটিং ছিল। সেটা যদিও পরে ব্যবহার করা হয়নি। প্রথমে চুমুর দৃশ্য আমার জন্য একেবারেই স্বস্তিকর ছিল না। পরে অস্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়ে। আমাদের পর্দার বাইরে কোনও রসায়নই নেই। ওর একটা কিসার বয় ইমেজ থাকলেও চুমু খাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি খুব একটা সাবলীল নন, আমিও নই।’, বলেন তনুশ্রী।
আরও পড়ুন: ‘এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা…’! ২৭ বছরের ছোট, কাঞ্চনের ৩ নম্বর বউ, মন ভাঙল শ্রময়ীর
বলিউড থেকে বিদায় নিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন। আর তা শেষ হলে মার্কিন মুলুকে চাকরি করছিলেন। ২০১৮ সালেই ইউএসের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন তনুশ্রী দত্ত। তবে বেশিদিন মন টেকেনি সেখানে। ফিরে আসেন ভারতে। ২০১৮ সালেই মি টু মুভমেন্টের সময় নানা পটেকর,গণেশ আচার্যদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তনুশ্রী দত্ত।