আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’-এ ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটপ্রচারে নেমে একাধিকবার বেঁফাস মন্তব্য করে ট্রোল হয়েছেন রচনা, কখনও তাঁর ‘ধোঁয়া’ মন্তব্য শোরগোল ফেলেছে আবার কখনও ‘গোরুর দুধ’ নিয়ে রচনার ‘রচনা’ শুনে উঠেছে হাসির রোল। তবে কাঠফাটা রোদেও প্রচারে খামতি রাখছেন না হুগলির ‘দিদি’ রচনা। আরও পড়ুন-‘একা ট্রিপে গেলে ছবি কে তোলে’! প্রেম নিয়ে প্রতীক্ষাকে খোঁচা রচনার, কুয়াশার বয়ফ্রেন্ডকে চেনেন?
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন এই গরমে কীভাবে প্রচারকাজ সামলানোর পাশাপাশি নিজের শরীরকে চাঙ্গ রাখছেন অভিনেত্রী। তিনি নায়িকা বলে কথা শুধু প্রচার সারলে হবে! আড্ডা শুরু আগে আয়না হাতে ধরে একটু টাচ আপ করে নিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সারা জীবন মেক-আপ করে এসেছি, রাজনীতিতে এসে ভেবেছিলাম মেক-আপ করতে হবে না,মেক-আপ ছাড়া আরামে থাকব। কিন্তু গরমে মেক-আপ না করলে স্কিনটা পুড়ে যাবে।তাই মেক-আপ করছি।’
এদিন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটপ্রচারে রচনার পরনে হামেশাই দেখা যাচ্ছে, সুতির শাড়ি কিংবা সালোয়ার। ফুলস্লিভস ব্লাউজ বা চুড়িদারে হাত ঢেকে রাখছেন তিনি। এদিনও তাঁর পরনে সাদা সালোয়ার। হাঁসফাঁস গরমে কীভাবে ফিট থাকছেন রচনা? তৃণমূল প্রার্থী বললেন, ‘প্রচুর জল খাচ্ছি, ছাঁচ খাচ্ছি,লস্যি খাচ্ছি। যে সব গাড়ি নিয়ে প্রচারে যাচ্ছি সে গুলোতে হালকা ছাঁউনি করে নিচ্ছি,কারন টানা রোদে থাকা যাচ্ছে না। অনেকে প্রচার করছেন বিকেলে, তবে আমি সকালে হালকা ছাঁউনি দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করছি, আর বিকেলে হুড খোলা গাড়ি ব্যবহার করছি’।
গরম চুলোয় যাক! রচনাকে দেখতে রাস্তার দু-ধারে উপচে পড়ল ভিড়। প্রচারের ফাঁকে তৃণমূল প্রার্থীকে বার বার দেখা গেল জল খেতে। ডি-হাইড্রেশন থেকে বাঁচতে সবরকম উপায় মেনে চলছেন দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকা। রাস্তার দু-ধার থেকে কেউ রচনাকে দিচ্ছেন ঠাণ্ড জল তো কেউ কোল্ডড্রিংসের বোতল। খানিক আফসোসের সুরেই স্বাস্থ্যসচেতন নায়িকা বললেন, ‘আমি তো কোল্ডড্রিংস খাই না। কিন্তু সবাই ভালোবেসে দিচ্ছেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাইকে বলছি ডাব খেতে, আপনাদেরও বলছি।’
দলীয় কর্মীদেরও সুস্থ থাকতে টোটকা দিলেন রচনা। বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ থাকল অভিনেত্রীর তরফে, সঙ্গে সুতির পোশাক আর হালকা খাবার খাওয়ার অনুরোধ থাকল তাঁর তরফে। সঙ্গে বলতে ভুললেন না, ‘গরমে দই খাবেন, দই ইজ মাস্ট’। দই-এর নাম উচ্চারণ করেই হাসিতে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী।
হুগলি লোকসভার মধ্যে পান্ডুয়া এবং বলাগড় থেকে সব থেকে বেশি লিড পাবেন। তিনি বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব জায়গায় আছে। আমি বলছি না যে, নেই। আমাদের মধ্যেও আছে, সবার সঙ্গে কিছু না কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। হয়তো হচ্ছে সেটা। তবে আমার বিশ্বাস, সবাই একজোট হয়েই কাজ করবে।’’