কালীপুজোর আর দিওয়ালির সময় যখন গোটা কলকাতা মজেছিল আলোর উৎসবে, তখনই জীবনে অন্ধকার নেমে আসে অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। ১০ নভেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান সুদীপ্তার বাবা। প্রতিটা মেয়ের কাছে বাবাই তাঁর প্রথম হিরো। বাবারা মেয়েদের যেভাবে আগলে রাখে, তা বোধহয় আর কেউ পারে না। বাবাকে হারিয়ে তাই দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রীও। গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।
শনিবার ১৮ নভেম্বর বাবার ছবি শেয়ার করে করলেন একটা লম্বা পোস্ট। বাবার সঙ্গে তোলা একটি ছবি দিলেন। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘বাবা চলে যাওয়ার সাতদিন….বাবা…. ও বাবা….বাবা….আর আমি ডাকবো না তোমায়….বাবা …ও বাবা…দরজাটা খোলো.. কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি… আমি আর তোমায় বোলবো না…!! বাবা….’
আরও পড়ুন: ‘যা ছিল আমার…’, দ্বিতীয় প্রসবের আগে রাজকে বার্তা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রীর
‘এই পৃথিবীর সবথেকে কাছের এবং প্রিয় মানুষটি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে…. আর দেখা হবে না…কথা হবে না…তোমাকে ছুঁতে পারবো না কখনও….।’, আরও লেখেন সুদীপ্তা।
বাবাকে চোখের সামনে ভুগতে দেখেছেন। হাসপাতালে ভর্তি মানুষটা সুস্থ হতে পারবেন না এমন বলেছিলেন অনেকেই। তিনি বা তাঁর দাদা বিশ্বাসই করেননি। ভরসা ছিল, বাড়িতে ফিরিয়ে আনবেন সুস্থ করে। কিন্তু তেমনটা আর হল না। ‘আমিতো তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম হসপিটালে রোজ… আজ বোধয় তুমি একটু সুস্থ হবে… একটু হয়তো কথা বলবে…!! ৪ঠা নভেম্বর।। আমার হাতটা বেশ শক্ত করেই ধরেছিলে কিছুক্ষন…কয়েকটা কথাও বলেছিলে…!! আর আমাদের উপস্থিতি তুমি টের পাওনি… কত ডেকেছি … তুমি বুঝতেও পারোনি… সবাই বলছিলে বটে… তোমার অবস্থার অবনতির কথা… আমি আর দাদা বিশ্বাস করিনি…’
বাবাকে ফিরে পেতে চান নিজের ছেলে হিসেবে। অকপটেই লিখলেন সেই কথা-- ‘কোনদিন আমার জীবদ্দশায় তুমি আমায় মানি বলে না ডাকলেও, আমার কাছে তুমি ফিরে এসো…মানির বদলে শুধু ডেকো মা।’
সুদীপ্তার এই পোস্ট চোখে জল এনে দিয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। যদিও পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই রেখেছেন। বাবার সঙ্গে তোলা যেই ছবিটা তিনি শেয়ার করেছেন তা বিয়ের সকালে, গায়ে হলুদের সময় তোলা।
আরও পড়ুন: বলিউডের কাজে ‘না’! মুম্বইতে থাকা ফ্ল্যাট বিক্রি প্রিয়াঙ্কার, কত কোটি এল ঘরে?
কাজের সূত্রে সুদীপ্তাকে শেষ দেখা গিয়েছে সোহাগ জল ধারাবাহিকে বেণী বৌদির চরিত্রে। পয়লা মেয়ে বিয়ে করেন তৃণমূল নেত্রী স্মিতা বক্সীর ছেলে সৌম্য বক্সীকে। কিছুদিন আগে ইউরোপ থেকে হানিমুনও করে ফিরেছেন।