নাম পৃথা চক্রবর্তী। পেশায় এই ওডিসি নৃত্যশিল্পীকে টলিপাড়া অবশ্য চেনে অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী হিসাবেই। বয়সে ২৪ বছরে পার্থক্য, তবু সুদীপ-পৃথার সুখের সংসার বলেই জানা যায়। তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি, রবিবার হঠাৎ নিজে ইনস্টাগ্রামে ‘Got Married today’ বলে পোস্ট করেছেন পৃথা। তবে বিবাহিত পৃথার হঠাৎ এমন পোস্টে অনেকেই অবাক। নেটিজেনদের সকলেরই প্রশ্ন, ব্যাপার কী?
আবার অনেকেই পৃথা চক্রবর্তীকে নতুন বিবাহিত জীবনের শুভেচ্ছাও জানিয়ে বসেছেন। তবে বিবাহিত পৃথার হঠাৎ এমন পোস্টে অনেকেই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। সকলেরই প্রশ্ন ব্যাপার কী? তবে কি ভুল করে এমন পোস্ট! তবে এই একই পোস্ট পৃথা চক্রবর্তীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও করা হয়েছে। তবে কেন এমন পোস্ট বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, প্রথম বিয়ে ভাঙার পর ২৪ বছরের ছোট নৃত্যশিল্পী পৃথা চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এর আগে ২০২২-এ অভিনেতা স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় পোস্ট করে ভাইরাল হয়েছিলেন পৃথা। স্বামীর গালে গাল ঠেকিয়ে একটা রোম্যান্টিক পোস্ট করেছিলেন সুদীপ-পত্নী। ছবিতে দেখা গিয়েছিল খালি গায়ে রয়েছেন সুদীপ। স্ত্রী পৃথা তাঁর পাশে শুয়ে। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘জীবন সুন্দর’। দম্পতির চোখ বন্ধ, তবে ঠোঁটে ঠোঁট মেলাতে আর কতক্ষণ? যদিও পরে তা ডিলিটও করে দেন।
এদিকে ২০২২-এ ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র মঞ্চেই নিজেদের দাম্পত্যের বহু অজানা কথা ফাঁস করেছিলেন সুদীপ-পৃথা। যেখানে ‘শ্রীময়ী’র 'অনিন্দ্য' সুদীপ জানিয়েছিলেন, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও এখনও তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। প্রথম বিয়ে থেকে যে সন্তান রয়েছে তারও যত্ন নেন দু'জনে মিলে। এমনকী, পৃথাও জানিয়েছিলেন সুদীপের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও বন্ধুর মতো। তিনি এই বিষয়ে খুব ‘কুল’।
এদিকে হেসে-খেলে একসঙ্গে দাম্পত্যের ৮ বছর কাটিয়েও ফেলেছেন সুদীপ-পৃথা। তাঁদের দুই পুত্র, ঋদ্ধি আর বালি। টেলিভিশনের পর্দার আদর্শ স্বামী না হলেও বাস্তবে কিন্তু 'পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক' বলেই জানিয়েছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সুদীপ-পৃথার। ওডিসি নৃত্যশিল্পীর পৃথার সঙ্গে সুদীপের প্রায় ২৪ বছরের বয়সের পার্থক্য। ডিভোর্সি সুদীপকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পৃথা। সুদীপের এটা দ্বিতীয় বিয়ে হলেও পৃথার কিন্তু এটা প্রথম বিয়ে ছিল। সে তো নাহয় হল, এখন প্রশ্ন হঠাৎ রবিবার ফের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় 'গট ম্যারেড টুডে' বলে কেন পোস্ট করেছেন পৃথা? উত্তরটা এখনও অজানা।