দীর্ঘ সংঘাত পর্ব আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বারেবারে কেঁপে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ- ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। হাজার হাজার মৃত্যু, রক্তপাত তবুও হানাহানিতে বিরাম নেই গত ৭৫ বছরে। শনিবার সকালে গাজা ভূখণ্ড থেকে রকেট হানার পর ভূমি, জল ও আকাশপথে ইজরায়েলে আক্রমণ চালিয়েছে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হামাস। মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়েলও। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই প্রাণ গিয়েছে হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুরা নায়কের প্রিয়জনদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগিন খ্যাত তারকা জানান, হামাস জঙ্গিরা নৃশংসভাগে হত্যা করেছে তাঁর বোন এবং ভগ্নিপতিতে। অভিনেত্রীর তুতো বোন ওদায়া (Odaya) ও তাঁর স্বামীকে দুই সন্তানের সামনেই খুন করা হয়েছে বলে জানান মধুরা।
মধুরা লেখেন, ‘আমার প্রিয় বোনের এই অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছি। জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল ওদের। ওর উষ্ণতা, দয়ালু মন আর ভালোবাসা চিরকাল সঙ্গে থকাবে। আমাদের প্রার্থনা ওর সঙ্গে রয়েছে, এবং সেই সকল মানুষ যাঁরা প্রাণ হারালেন। তাঁরা যেন চিরশান্তিতে ঘুমান।’
মধুরা নিজেও ভারতে বসবাসকারী একজন জিউস। ইহুদি জাতির উপর হামাসের এই আক্রমণের কড়া সমালোচনা করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের পাশে দাঁড়ান, ইজরায়েলের মানুষদের সঙ্গে দাঁড়ান এই কঠিন সময়ে। যাতে গোটা বিশ্ব এই সন্ত্রাসবাদীদের আসল চেহারাটা দেখতে পায়, জানতে পারে তাঁরা কতটা অমানবিক’।
এখানেই শেষ নয়, তুতো বোন ও ভগ্নিপতির হত্যার কথা প্রকাশ্যে এনে হামাসকে আক্রমণ করায় প্রো-প্য়ালেস্তাইনিরা তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করতে থাকে। তাতেই চটেছেন অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার ভিডিয়ো বার্তায় মধুরা জানান, ‘আমি লজ্জিত, জিউস হওয়ার জন্যই এভাবে আমাকে টার্গেট করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে। আমি সকলকে বলতে চাই প্যালেস্তাইনের সমর্থনে যারা গলা ফাটাচ্ছে পুরোটাই আবর প্রোপাগান্ডা। যারা বোঝাতে চায় ইজরালেয়িরা ঠান্ডা মাথায় খুন করছে, এটা সত্যি নয়’।
কোনওধরণের হিংসাকেই তিনি সমর্থন করেন না বলে জানান মধুরা। ইজরায়েলের মানুষদের সুরক্ষার জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বলেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, নাগিনের পাশাপাশি ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’, ‘প্যায়ার কি ইয়ে এক কাহানি’, ‘ইস প্যায়ার কো ম্যায় ক্যায় নাম দুঁ’র মতো অজস্র হিট মেগার অংশ থেকেছে মধুরা।